হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতা (Indus Valley Civilization) ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম ও সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নগর সভ্যতাগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ থেকে ১৭৫০ অব্দ পর্যন্ত তার পূর্ণতা লাভ করে। এই সভ্যতা ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা নামেও পরিচিত। ১৯২১ সালে প্রথম হরপ্পা আবিষ্কার হওয়ায় এর নামকরণ হয় হরপ্পা সভ্যতা।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
সময়কাল: খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০-১৭৫০ অব্দ (পরিপক্ক পর্যায়)।
আবিষ্কারক: জন মার্শালের নেতৃত্বে দয়ারাম সাহানি (হরপ্পা, ১৯২১) এবং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (মহেঞ্জোদারো, ১৯২২)।
বিস্তার: বর্তমান পাকিস্তান (পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান), ভারত (গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশ), এবং আফগানিস্তানের কিছু অঞ্চল।
বৈশিষ্ট্য: উন্নত নগর পরিকল্পনা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, ব্রোঞ্জের ব্যবহার, কৃষিকাজ, বাণিজ্য, সীলমোহর ও লিখন পদ্ধতি।
হরপ্পা সভ্যতার প্রধান কেন্দ্রসমূহ: নাম, আবিষ্কারক, সাল, নদী ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
এখানে হরপ্পা সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলির একটি বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হলো:
| কেন্দ্রের নাম | আবিষ্কারক | আবিষ্কারের সাল | নদী | অবস্থান (বর্তমান) | গুরুত্বপূর্ণ তথ্য |
| ১. হরপ্পা (Harappa) | দয়ারাম সাহানি (John Marshall-এর নেতৃত্বে) | ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ | ইরাবতী (রাভি) | পাঞ্জাব, পাকিস্তান | - প্রথম আবিষ্কৃত কেন্দ্র, যার নামে সভ্যতার নামকরণ। , - বৃহৎ শস্যাগার (Granary) ও শ্রমিক আবাস। , - R37 কবরস্থান। , - বেলেপাথরের পুরুষ মূর্তি (নৃত্যরত পুরুষ বা নটরাজ)। , - তামার তৈরি আয়না। , - মাতৃদেবী ও লিঙ্গ পূজার প্রমাণ। |
| ২. মহেঞ্জোদারো (Mohenjo-Daro) | রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (R.D. Banerji) | ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ | সিন্ধু | সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান | - বৃহত্তম হরপ্পা কেন্দ্র এবং 'মৃতের স্তূপ' (Mound of the Dead) নামে পরিচিত। , - বৃহৎ স্নানাগার (Great Bath) ও শস্যাগার। , - ব্রোঞ্জের নর্তকী মূর্তি (Dancing Girl)। , - পশুপতি শিবের সীলমোহর। , - পুরোহিতের মূর্তি (Priest King)। , - তুলার ব্যবহারের প্রাচীনতম প্রমাণ। , - চাণহুদাড়োর মতো এখানকার নাগরিকরা অস্ত্র ব্যবহার করত না। |
| ৩. লোথাল (Lothal) | এস.আর. রাও (S.R. Rao) | ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ | ভোগাবো (সবরমতীর উপনদী) | গুজরাট, ভারত | - কৃত্রিম পোতাশ্রয় বা ডকইয়ার্ডের (Dockyard) উপস্থিতি, যা বৈদেশিক বাণিজ্যের ইঙ্গিত দেয়। , - ধানের তুষের (Rice Husk) প্রমাণ। , - অগ্নিকুণ্ড (Fire Altars) ও শস্য পেষার যন্ত্র। , - দ্বৈত সমাধি (Double Burial) – নর ও নারীর একসঙ্গে সমাধিস্থ হওয়ার প্রমাণ। , - হাতির দাঁতের স্কেল। , - এখানকার বাড়িগুলির প্রবেশপথ প্রধান সড়কের দিকে ছিল। |
| ৪. কালিবঙ্গান (Kalibangan) | এ. ঘোষ (A. Ghosh), পরে বি.বি. লাল (B.B. Lal) ও বি.কে. থাপার (B.K. Thapar) | ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ | ঘাগর (প্রাচীন সরস্বতী নদীর শুষ্ক খাত) | রাজস্থান, ভারত | - কর্ষিত জমির প্রাচীনতম প্রমাণ (Pre-Harappan period)। , - উট ও উটের হাড়ের প্রমাণ। , - সাতটি অগ্নিকুণ্ড (Fire Altars)। , - চক্রাকার ও আয়তাকার সমাধি। , - কাঠের লাঙলের (Wooden Plough) দাগের প্রমাণ। , - দুর্গ ও নিচের শহরের দুটি অংশই প্রতিরক্ষা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল। |
| ৫. চানহুদাড়ো (Chanhudaro) | এন.জি. মজুমদার (N.G. Majumdar) | ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ | সিন্ধু | সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান | - একমাত্র হরপ্পা কেন্দ্র যেখানে কোনো দুর্গ (Citadel) ছিল না। , - পুঁতির কারখানা (Bead Factory) ও সীল তৈরির কারখানা। , - লিপস্টিক ও বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীর প্রমাণ। , - কুকুরের পায়ের ছাপ যা বিড়ালের অনুসরণ করছিল। |
| ৬. ধোলাভিরা (Dholavira) | জগপতি যোশী (J.P. Joshi), পরে আর.এস. বিষ্ট (R.S. Bisht) | ১৯৬৭-৬৮ খ্রিস্টাব্দ | লুনি (বা মৌসুমী নদী) | কচ্ছ, গুজরাট, ভারত | - হরপ্পা নগরগুলির মধ্যে একমাত্র ত্রি-স্তরীয় বিভাজন (দুর্গ, মধ্য শহর, নিম্ন শহর)। , - উন্নত জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও পাথরের জলাধার। , - স্টেডিয়াম বা মুক্তাঙ্গন। , - দশটি বড় অক্ষরের শিলালিপি (Largest Harappan Inscription)। , - UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত (২০২১)। |
| ৭. বানোয়ালি/বানাওয়ালি (Banawali) | আর.এস. বিষ্ট (R.S. Bisht) | ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ | সরস্বতী/চৌটাং | ফতেহাবাদ, হরিয়ানা, ভারত | - যবের (Barley) উচ্চ ফলনের প্রমাণ। , - পোড়ামাটির লাঙলের মডেল। , - পুতির দোকান। , - উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব। |
| ৮. রাখিগরহি (Rakhigarhi) | অমরেন্দ্র নাথ (Amarendra Nath) | ১৯৯৭-২০০২ খ্রিস্টাব্দ | ঘাগর-হাকরা (প্রাচীন সরস্বতী) | হিসার, হরিয়ানা, ভারত | - ভারতের বৃহত্তম হরপ্পা কেন্দ্র। , - বৃহৎ শস্যাগার, পোড়ামাটির মূর্তি, সীলমোহর। , - ডিএনএ গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। |
| ৯. রংপুর (Rangpur) | এম.এস. ভাটস (M.S. Vats), পরে এস.আর. রাও | ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ | মাদার (ভোগাবোর উপনদী) | গুজরাট, ভারত | - ধান চাষের প্রমাণ। , - হরপ্পা-পরবর্তী সংস্কৃতির প্রমাণ। |
| ১০. সুরকোটাদা (Surkotada) | জগপতি যোশী (J.P. Joshi) | ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ | লুনি (বিলুপ্ত সরস্বতী) | কচ্ছ, গুজরাট, ভারত | - ঘোড়ার হাড়ের প্রাচীনতম প্রমাণ। , - পাথরের প্রাচীর দ্বারা নির্মিত দুর্গ। |
| ১১. আমরি (Amri) | এন.জি. মজুমদার (N.G. Majumdar) | ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ | সিন্ধু | সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান | - প্রাক-হরপ্পা ও হরপ্পা উভয় সংস্কৃতির প্রমাণ। |
| ১২. কোট ডিজি (Kot Diji) | এফ.এ. খান (F.A. Khan) | ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ | সিন্ধু | সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান | - প্রাক-হরপ্পা সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ স্থান। , - পাথরের তৈরি তীরের ফলা (Arrowheads)। |
| ১৩. আলমগীরপুর (Alamgirpur) | যজ্ঞদত্ত শর্মা (Y.D. Sharma) | ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ | হিন্দন (যমুনার উপনদী) | উত্তরপ্রদেশ, ভারত | - হরপ্পা সভ্যতার পূর্বাঞ্চলীয় কেন্দ্র। , - পোড়ামাটির জিনিস ও তামা ও ব্রোঞ্জের জিনিসপত্র। |
| ১৪. সুৎকাগেনডোর (Sutkagen-Dor) | আর.এল. স্টেইন (R.L. Stein) ও জর্জেস ডেলস (Georges Dales) | ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ | দশ্ত | বেলুচিস্তান, পাকিস্তান | - হরপ্পা সভ্যতার পশ্চিমাঞ্চলীয় কেন্দ্র। , - সমুদ্রবন্দর ও মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের প্রমাণ।
হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণ নিয়ে মতামত
হরপ্পা সভ্যতার পতন একটি জটিল ও বিতর্কিত বিষয়। ঐতিহাসিকরা এই বিশাল সভ্যতার আকস্মিক বিলুপ্তির জন্য বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করেছেন। সম্ভবত একটি একক কারণ নয়, বরং একাধিক কারণের সম্মিলিত প্রভাবে এই সভ্যতার পতন ঘটেছিল।
১. আক্রমণ তত্ত্ব (Aryan Invasion Theory):
প্রবক্তা: স্যার মর্টিমার হুইলার (Sir Mortimer Wheeler), গর্ডন চাইল্ড (Gordon Childe), স্টুয়ার্ট পিগট (Stuart Piggott)।
যুক্তি: এই তত্ত্ব অনুসারে, বহিরাগত আর্য জাতিগোষ্ঠীর আক্রমণে হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটেছিল। ঋগ্বেদে আর্যদের দ্বারা 'দস্যু'দের দুর্গ ধ্বংসের (পুরন্দর - দুর্গের ধ্বংসকারী) এবং 'হরিয়ূপিয়া' নামক স্থানের উল্লেখকে হরপ্পার সাথে তুলনা করা হয়। মহেঞ্জোদারোতে কিছু নরকঙ্কাল বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা গণহত্যামূলক আক্রমণকে ইঙ্গিত করে বলে মনে করা হয়েছিল।
খণ্ডন: আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, মহেঞ্জোদারোর নরকঙ্কালগুলি বিভিন্ন সময়ের এবং তাদের কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এছাড়া, সামরিক সংঘর্ষের প্রত্যক্ষ প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণও অপ্রতুল। আর্যদের আগমন ও হরপ্পা সভ্যতার পতনের সময়কাল নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
২. জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত অবক্ষয় (Climatic Change & Environmental Degradation):
প্রবক্তা: জন মার্শাল (John Marshall), জি.এফ. ডেলস (G.F. Dales), ডাব্লিউ. এ. ফেয়ারসার্ভিস (W.A. Fairservis), ডি.পি. আগরওয়াল (D.P. Agrawal)।
যুক্তি: এই তত্ত্ব অনুযায়ী, দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাত হ্রাস, বনাঞ্চল ধ্বংস, অতিরিক্ত পশুপালন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে কৃষিজ উৎপাদন হ্রাস পায় এবং শহরগুলিতে খাদ্যাভাব দেখা দেয়, যা সভ্যতার পতনের কারণ হয়।
খণ্ডন: সমগ্র সিন্ধু উপত্যকা জুড়ে একই সময়ে একইরকম জলবায়ু পরিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
৩. নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও বন্যা (Change in River Course & Floods):শ
প্রবক্তা: আর. এল. রাইকস (R.L. Raikes), জর্জ ডেলস (George Dales), স্যার জন মার্শাল (Sir John Marshall), আর্নেস্ট ম্যাককে (Ernest Mackay)।
যুক্তি: সিন্ধু নদ ও তার উপনদীগুলির গতিপথ পরিবর্তন, বারংবার বিধ্বংসী বন্যা এবং নদীর পলি জমে ভূমির উর্বরতা হারানোর কারণে হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে। মহেঞ্জোদারো ও চানহুদারোর মতো স্থানগুলিতে পলির একাধিক স্তরের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা বন্যার পুনরাবৃত্তিকে ইঙ্গিত করে।
খণ্ডন: যদিও এটি কিছু অঞ্চলের পতনের ব্যাখ্যা দিতে পারে, কিন্তু সমগ্র সভ্যতার পতনের জন্য এটি এককভাবে যথেষ্ট নয়।
৪. ভূমিকম্প (Earthquakes):
প্রবক্তা: রিকস (Raikes), ডেলস (Dales) এই তত্ত্বটিও সমর্থন করেছেন।
যুক্তি: সিন্ধু অববাহিকা একটি সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে শহরগুলির ধ্বংস এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটতে পারে, যা সভ্যতার পতনে সহায়ক হয়েছিল।
৫. রোগ বা মহামারী (Epidemics/Diseases):
প্রবক্তা: কিছু গবেষক অনুমান করেন যে, ব্যাপক রোগ বা মহামারীর প্রাদুর্ভাব জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে ধ্বংস করে থাকতে পারে, যার ফলে সভ্যতার জনশক্তি ও প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ে। তবে এর সরাসরি প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ খুব কম।
৬. প্রশাসনিক দুর্বলতা ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা (Administrative Weakness & Internal Disorder):
প্রবক্তা: কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে সভ্যতার প্রশাসনিক কাঠামোতে দুর্বলতা দেখা দেয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, সম্পদের উপর চাপ এবং সুসংহত নগর পরিচালনার অভাবে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে, যা সভ্যতার বিলুপ্তিতে সাহায্য করে।
৭. সরস্বতী নদীর শুকিয়ে যাওয়া (Drying up of Saraswati River):
প্রবক্তা: এম. আর. মুঘল (M.R. Mughal) এবং রোমিলা থাপারের (Romila Thapar) মতো ঐতিহাসিকরা এই তত্ত্বটিকে গুরুত্ব দেন।
যুক্তি: হরপ্পা সভ্যতার অসংখ্য কেন্দ্র, বিশেষ করে হরিয়ানা ও রাজস্থানের কেন্দ্রগুলি, প্রাচীন সরস্বতী (বর্তমান ঘগ্গর-হাকরা) নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল। ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ফলে এই বিশাল নদীর শুকিয়ে যাওয়া কৃষি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা শেষ পর্যন্ত এই সভ্যতার পতনের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে এটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তত্ত্বগুলির মধ্যে একটি।
উপসংহার:
হরপ্পা সভ্যতার পতন সম্ভবত কোনো একটি কারণে ঘটেনি, বরং উপরোক্ত বিভিন্ন কারণের সম্মিলিত প্রভাবে ধীরে ধীরে এই উন্নত নগর সভ্যতা বিলুপ্তির পথে চলে যায়। পরবর্তীকালে, এর স্থানে গ্রাম-ভিত্তিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, যা ধীরে ধীরে বৈদিক সভ্যতার উন্মোচন ঘটায়।