পলাশির যুদ্ধের গুরুত্ব কী ছিল?
পলাশীর যুদ্ধের প্রভাব: ঔপনিবেশিক ভারতে ক্ষমতার পরিবর্তন
উত্তর ভারতের ইতিহাসে পলাশির যুদ্ধের (১৭৫৭ খ্রি.) গুরুত্ব অপরিসীম। এই যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলা তথা ভারতে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সূচনা হয়েছিল। তাই অধ্যাপক পি জে মার্শাল বলেছেন, 'পলাশির যুদ্ধ নিছক যুদ্ধই ছিল না, পলাশির ঘটনা হল একটি বিপ্লব।'
পলাশির যুদ্ধের গুরুত্ব:
- পলাশির যুদ্ধের ফলে বাংলার নবাব ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে নতুন নবাব মির জাফরের কোনো ক্ষমতাই ছিল না, প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। কোম্পানি নবাবের সিংহাসনের পশ্চাতে প্রকৃত শক্তি-তে পরিণত হয়েছিল।
- পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ইংরেজ কোম্পানি ব্যাবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার সুযোগ পাওয়ার ফলে বাংলা থেকে অন্যান্য বণিকগোষ্ঠী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল।
- পলাশির যুদ্ধে জয়ের ফলে কোম্পানির মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি অধিকারী হয় এবং এই অধিকারের বলে বাংলার নবাব যেমন মির জাফর, মির কাশিম, ইংরেজদের হাতের পুতুলে পরিণত হন।
Related Short Question:
1. 1757 খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারতের ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধের তাৎপর্য কী ছিল?
- পলাশীর যুদ্ধ বাংলা ও ভারতের উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের উত্থানকে চিহ্নিত করে।
2. পলাশীর যুদ্ধের তাৎক্ষণিক ফলাফল কি ছিল?
- বিজয়ের ফলে বাংলার নবাবের পুতুল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায়, নতুন নবাব মীর জাফরের পরিবর্তে কোম্পানির হাতে প্রকৃত ক্ষমতা অর্পণ করে।
3. পলাশীর যুদ্ধ কীভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছিল?
- এটি বাণিজ্যে কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে, তাদের অবাধে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে দেয় এবং অন্যান্য বণিক গোষ্ঠীগুলিকে অধীনস্থ করে তোলে, ফলস্বরূপ কোম্পানির কর্তৃত্ব দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি করে।
4. পলাশীর যুদ্ধ কোন উপায়ে বাংলা ও ভারতের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছিল?
- বিজয় বাংলায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হস্তক্ষেপে কোম্পানির ভূমিকাকে সহজতর করে। এটি ব্রিটিশ আধিপত্যের পথ প্রশস্ত করে, তাদের বাংলার সিংহাসন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নবাবের সিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করতে সক্ষম করে।