হেটাইরিয়া ফিলিকে বা বান্ধব সভা কি?

হেটাইরিয়া ফিলিকে বা বান্ধব সভা ছিল গ্রীসের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গোপন সমিতিটি ১৮১৪ সালে খ্রিষ্টিয়ান স্কুপাস নামে একজন গ্রীক ব্যবসায়ী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের শাসন থেকে গ্রীসকে মুক্ত করা।

হেটাইরিয়া ফিলিকি ছিল একটি গোপন সংগঠন

প্রতিষ্ঠা ও লক্ষ্য

হেটাইরিয়া ফিলিকি বা বান্ধব সভা ছিল গ্রীসের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গোপন সমিতিটি ১৮১৪ সালে ওডেসার বন্দরে খ্রিষ্টিয়ান স্কুপাস নামে একজন গ্রীক ব্যবসায়ী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের শাসন থেকে গ্রীসকে মুক্ত করা। আলেকজান্ডার ইপসিল্যান্টি এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। এর সদস্যরা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ছিলেন, যেমন ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সামরিক কর্মকর্তা।


গোপনীয়তা ও কার্যকলাপ

হেটাইরিয়া ফিলিকি ছিল একটি গোপন সংগঠন। এর সদস্যরা তাদের কার্যকলাপ গোপনেই চালাত। তারা অর্থ সংগ্রহ করত, সৈন্য সংগ্রহ করত এবং বিদেশি দেশগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন করত। এই সংগঠনটি গ্রীসের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছিল, যা তাদের কার্যকলাপকে আরও কার্যকর করে তুলেছিল।


স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা

হেটাইরিয়া ফিলিকির কার্যকলাপ গ্রীক বিদ্রোহকে জ্বালিয়ে তুলেছিল। তাদের প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও, তারা গ্রীক জনগণকে একত্রিত করতে এবং তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে আরও জোরদার করতে সফল হয়েছিল। তাদের প্রচেষ্টা গ্রীক স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে।


হেটাইরিয়া ফিলিকি বা বান্ধব সভা ছিল গ্রীসের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি চালিকাশক্তি। এই গোপন সমিতির কার্যকলাপ গ্রীক জনগণকে একত্রিত করেছিল এবং তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে আরও জোরদার করেছিল। এটির ইতিহাস ও কার্যকলাপ গ্রীক স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

Tags:
Next Post Previous Post