Dog 🐶 2048 Brainstorming Game চরৈবেতি - বাংলা ব্লগ Bangla Age Calculator LIC Calculator

মহারথী ও মহাভোজ কাদের বলা হতো?

সাতবাহন যুগে সামন্তরা রাজ্যের প্রশাসন এবং সামরিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। এই যুগে প্রধান দুটি সামন্ত শ্রেণি ছিল মহারথী এবং মহাভোজ। এই শ্রেণিগুলি তাদের ক্ষমতা, ভূমিকা, এবং পদমর্যাদার ভিত্তিতে পৃথক ছিল।

সাতবাহন যুগে মহারথী ও মহাভোজ: সামন্তদের ভূমিকা ও গুরুত্ব

মহারথী

সাতবাহন যুগে মহারথী শ্রেণীভুক্ত সামন্তরা ছিল স্বাধীন শাসক। তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:

স্বাধীন সামন্ত

মহারথীরা স্বাধীন সামন্ত হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের নিজস্ব অঞ্চল ছিল যেখানে তারা স্বাধীনভাবে শাসন করতেন এবং রাজার কর্তৃত্বের অধীনে থাকলেও তাদের নিজস্ব প্রশাসনিক ও সামরিক ক্ষমতা ছিল।

জমিদান

মহারথীরা জমিদান করতে পারতেন, যা তাদের শাসন ক্ষমতার অন্যতম প্রধান প্রতীক ছিল। তারা নিজস্ব এলাকায় জমি দান করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতেন এবং তাদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেন।

স্থায়িত্ব শাসন

মহারথীরা স্থায়ী শাসনের অধিকার ভোগ করতেন। তাদের শাসন ক্ষমতা রাজা দ্বারা অনুমোদিত হলেও তারা তাদের নিজস্ব অঞ্চল এবং জনগণের ওপর স্থায়ী শাসন প্রতিষ্ঠা করতেন।


মহাভোজ

মহাভোজ শ্রেণীভুক্ত সামন্তরা মহারথীদের তুলনায় পদমর্যাদায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:

শ্রেষ্ঠ পদমর্যাদা

মহাভোজরা মহারথীদের তুলনায় পদমর্যাদায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তারা রাজ্য ও রাজপরিবারের প্রতি অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। 

প্রাচীন সামন্ত গোষ্ঠীভুক্ত

মহাভোজরা প্রাচীন সামন্ত গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে শাসন ক্ষমতা ভোগ করতেন এবং তাদের পরিবারের মধ্যে এই ক্ষমতা বংশানুক্রমিকভাবে হস্তান্তরিত হতো।

বংশানুক্রমিক ক্ষমতা

মহাভোজদের ক্ষমতা বংশানুক্রমিকভাবে হস্তান্তরিত হতো। তাদের পরিবারগুলি প্রজন্ম পরম্পরায় শাসন ক্ষমতা লাভ করতো, যা তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতো।


উপসংহার

সাতবাহন যুগে মহারথী ও মহাভোজ শ্রেণীভুক্ত সামন্তরা রাজ্যের শাসন ও প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। মহারথীরা স্বাধীন সামন্ত হিসেবে জমিদান ও স্থায়ী শাসন করতেন, আর মহাভোজরা পদমর্যাদায় শ্রেষ্ঠ এবং বংশানুক্রমিক ক্ষমতা ভোগ করতেন। তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, তারা উভয়েই সাতবাহন যুগে সামন্ত শাসনের মূল ভিত্তি রচনা করেছিলেন।

Tags:
Next Post Previous Post