কাকে কেন 'সাতবাহন-কুল-যশঃ প্রতিষ্ঠানকর' বলা হয়েছে?
গৌতমী বলশ্রী তার পুত্র সাতকর্ণীকে নাসিক প্রশস্তিতে 'সাতবাহন-কুল-যশঃ প্রতিষ্ঠানকর' অর্থাৎ সাতবাহন বংশের যশ বা গৌরব প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব প্রদান করেছেন। এই বিশেষণ তার পুত্রের শাসনকাল এবং তার অসাধারণ কৃতিত্বের প্রতিফলন।
প্রশস্তির পটভূমি:
গৌতমী বলশ্রী সাতকর্ণীর কীর্তি এবং যশ স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে নাসিক প্রশস্তি রচনা করেন। এই প্রশস্তি সাতকর্ণীর শাসনকালের বীরত্ব এবং অসাধারণ কৃতিত্বের প্রতিফলন, যা তার বংশের গৌরব প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
সাতকর্ণীর বীরত্ব:
সাতকর্ণী সাতবাহন বংশের একজন বিশিষ্ট শাসক ছিলেন। তার শাসনকালে তিনি বিভিন্ন যুদ্ধজয়ে কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তার বীরত্বের কারণে সাতবাহন সাম্রাজ্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সামরিক কৌশল এবং অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী তাকে একটি অমর কৃতিত্ব দিয়েছে।
সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়:
সাতকর্ণীর শাসনকালে তিনি ন্যায়বিচার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার প্রজাদের প্রতি দয়া এবং ন্যায়পরায়ণতা তাকে একটি মহান শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই সুশাসন সাতবাহন বংশের যশ প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
সাম্রাজ্যের বিস্তার:
সাতকর্ণী তার সাম্রাজ্যের বিস্তারেও অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে সাতবাহন সাম্রাজ্য উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত হয়েছিল। এই বিস্তার তার বংশের গৌরব প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল।
উপসংহার:
গৌতমী বলশ্রী তার পুত্র সাতকর্ণীকে 'সাতবাহন-কুল-যশঃ প্রতিষ্ঠানকর' হিসেবে উল্লেখ করে তার বীরত্ব, সুশাসন এবং সাম্রাজ্যের বিস্তারের জন্য কৃতিত্ব প্রদান করেছেন। সাতকর্ণীর অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী এবং তার শাসনকালের মহত্ত্ব তাকে সাতবাহন বংশের গৌরব প্রতিষ্ঠার এক অমর নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
Tags: #Ancient