পরাধীন ভারতের জাতীয় ফুটবল ক্লাব হিসেবে পরিচিত মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব। ১৯১১ সালে মোহনবাগান ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে পরাজিত করে আইএফএ শিল্ড জয় করে। এটি ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা, কারণ এটি প্রথমবারের মতো একটি ভারতীয় দল ব্রিটিশদের হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল। এই জয় স্বাধীনতার আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব: পরাধীন ভারতে স্বাধীনতার প্রতীক
মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব শুধু একটি ফুটবল ক্লাব ছিল না, পরাধীন ভারতে এটি ছিল জাতীয়তাবাদী চেতনার এক মূর্ত প্রতীক। ১৯১১ সালে তাদের আইএফএ শিল্ড জয় ছিল ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার আন্দোলনে এক নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছিল।
১৯১১ সালের ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ড জয়
১৯১১ সালের ২৯শে জুলাই, মোহনবাগান আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে শক্তিশালী ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। এই জয় ছিল অভাবনীয়, কারণ এর আগে কোনো ভারতীয় দল ব্রিটিশদের হারিয়ে কোনো বড় শিরোপা জিততে পারেনি। এই জয় শুধুমাত্র ফুটবলের সীমানায় আবদ্ধ ছিল না; এটি পরাধীন ভারতীয়দের মনে এক গভীর আত্মবিশ্বাস এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা সঞ্চার করেছিল।
জাতীয়তাবাদী চেতনায় মোহনবাগানের ভূমিকা
মোহনবাগানের এই জয়কে শুধুমাত্র একটি খেলার জয় হিসেবে দেখা হয়নি, এটিকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের এক প্রতীকী বিজয় হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ এই জয় উদযাপন করতে রাস্তায় নেমে এসেছিল, যা স্বাধীনতার আন্দোলনের অগ্নিশিখায় ঘি ঢেলেছিল। মোহনবাগান দল সেদিন শুধু ফুটবল খেলোয়াড় ছিল না, তারা হয়ে উঠেছিল পরাধীন ভারতের স্বপ্ন এবং প্রতিরোধের প্রতীক। এই জয় প্রমাণ করেছিল যে ভারতীয়রাও যোগ্যতায় ব্রিটিশদের থেকে কোনো অংশে কম নয়, যা দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষাকে আরও তীব্র করে তুলেছিল।
মোহনবাগানের এই ঐতিহাসিক জয় ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে এক সোনালি অধ্যায় রচনা করেছে এবং আজও এটি ভারতীয়দের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।
Post a Comment