ইউরোপের রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তন

★★★★★
ইউরোপের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের রূপান্তরমূলক যাত্রা, বিকশিত গতিশীলতা এবং সামাজিক পরিবর্তনের সন্ধান করে যা এর গণতান্ত্রিক অগ্রগতি এবং সামাজিক সংহতিকে

ইউরোপের রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তন

পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মতো ইউরোপের ইতিহাসকেও প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগে ভাগ করা হয়।। বিভিন্ন যুগের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। মধ্যযুগের ইউরোপেরও বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল। মধ্যযুগের শেষ-পর্বে বা আধুনিক যুগের সূচনায় ইউরোপের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও মানুষের চিন্তা ভাবনায় বিরাট পরিবর্তন ঘটে যায়। এর ফলেই মানুষ ইউরোপের মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের পার্থক্য বুঝতে পারে।

রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্ব : 

মধ্যযুগের সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্মে গির্জা ও পোপ ছিলেন সর্বেসর্বা। পোপের প্রাধান্য ছিল প্রশ্নাতীত। পোপের অঙ্গুলি হেলনেই সব কিছু চলত। ইউরোপে বহু ভাষাভাষী ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাস করত। তাদের অধিকাংশই ছিল রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান। খ্রিস্টীয় জগতের প্রধান হিসাবে পোপ এই সব খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষদের ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করেছিলেন। এইভাবে 'ক্রিসেনডম' ('Christendom') বা 'খ্রিস্টীয়-সাম্রাজ্য' কথাটির উৎপত্তি হয়। 

সম্রাজ্ঞ বনাম পোপতন্ত্র :

একদিকে ছিলেন পোপ তিনি আধ্যাত্মিক জগতের অধীশ্বর, আর অন্যদিকে ছিলেন পবিত্র রোমান সম্রাট' (Holy Roman Emperor)। তিনি জাগতিক জগতের প্রধান। এই দুই স্তম্ভকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল খ্রিস্টীয় সাম্রাজ্যিক ধারণা। এই দুই প্রধানের মধ্যে মাঝে-মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধত — দু'পক্ষই চাইত অন্যের ওপর কর্তৃত্ব করতে। ১০৭৫ খ্রিস্টাব্দে পোপ সপ্তম গ্রেগরি (Gregory VII) 'ডিক্টেটাস প্যাপে (Dictatus Papae') নামক একটি ঘোষণাপত্র জারি করেন। এবং বলেন যে, পোপের ক্ষমতা চূড়ান্ত। এর ফলে খ্রিস্টীয় সাম্রাজ্যিক ধারণার (পোপ ও সম্রাট একত্রে) অবসান হয়। এবং সম্রাট-পোপ দ্বন্দ্ব পরবর্তীকালেও সম্প্রসারিত হয়। শেষ পর্যন্ত ধর্মসংস্কার আন্দোলনের যুগে" (Age of Reformation) ওয়াইক্লিক (১৩৬০-৮০ খ্রি.), জন হাস (১৩৭২-১৪১৫ খ্রি.) প্রমুখ বিভিন্ন পণ্ডিতগণ ‘খ্রিস্টীয় সাম্রাজ্য' (Christendom)-এর ধর্মীয় স্তম্ভটির ওপরেই আঘাত হানেন।

পশ্চিম ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের সঙ্কট :

সামস্তপ্রথা ছিল মধ্যযুগের সমাজ, অর্থনীতি, রাষ্ট্র ও সামরিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল। ইউরোপের প্রতিটি মানুষ এই ব্যবস্থার সঙ্গে বাঁধা ছিল এবং এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই সকলের জীবন নিয়ন্ত্রিত হত। এই ব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল জমি। অন্যভাবে বলা যেতে পারে যে, জমির ওপর ভিত্তি করেই সামন্তপ্রথা গড়ে ওঠে। ক্রুসেডের পর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, নগর সভ্যতার বিকাশ ও নানা কারণে এই ভূমিকেন্দ্রিক সামস্ত ব্যবস্থা গভীর সঙ্কটের সম্মুখীন হয় এবং তার পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

ভূমিদাস প্রথার বিলোপ : 

ম্যানর, ভূমিদাস প্রথা এবং কৃষিকেন্দ্রিক অর্থনীতি ছিল এই যুগের বৈশিষ্ট্য। ভূমিদাসরা সর্বদা জমিতেই আবদ্ধ থাকত, কিন্তু একাদশ থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যে নানা কারণে ভূমিদাস প্রথার অবসান ঘটতে থাকে।

  • ১। অনেক সময় সদাশয় সামন্তপ্রভু বা জমিদার স্বেচ্ছায় তাঁর ভূমিদাসদের মুক্তি দিতেন।
  • ২। জমিদারদের সম্মতি নিয়ে গির্জায় যোগ দিয়ে বা ক্রুসেডে অংশ নিয়ে অনেক ভূমিদাস মুক্তি পেত।
  • ৩। মধ্যযুগের শেষদিকে নবগঠিত শহরগুলিতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসার ঘটে। মুক্তির জন্য অনেক ভূমিদাস ম্যানর থেকে পালিয়ে গিয়ে দূরের কোনো স্থান বা শহরে আশ্রয় নিত। কোনো শহরে এক বছর একদিন বাস করলেই ভূমিদাস মুক্তি পেত। তাই বলা হত যে শহরে মুক্ত হাওয়া বয়। সেখানে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্পে চাকরি জুটিয়ে নিতে তার কোনো অসুবিধা হত না।
  • ৪। ক্রুসেডের ফলে প্রাচ্যের বিলাস দ্রব্যাদির ইউরোপে আসতে থাকে এবং তা ভোগ করার জন্য সামন্তপ্রভুদের অর্থের দরকার হয়। তাঁরা নগদ অর্থের বিনিময়ে ভূমিদাসদের মুক্তি দেওয়া লাভজনক বলে মনে করেন। এভাবে মুক্ত ভূমিদাসেরা সামান্য মজুরির বিনিময়ে জমিদারের জমিতে চাষ করতে থাকে।
  • ৫। ১৩৪৭, ১৩৪৮ এবং ১৩৪৯ খ্রিস্টাব্দে যথাক্রমে ইতালি, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডে 'ব্ল্যাক ডেথ' নামে প্লেগের মহামারিতে অসংখ্য চাষির মৃত্যু হয়। সারা ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা। ছিল প্রায় দু'কোটির মতো। বলা বাহুল্য, এর ফলে অবশিষ্ট কৃষকদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে ইউরোপের নানা দেশে ও নানা সময়ে প্রজা বিদ্রোহ সংঘটিত হতে থাকে। এ গুলির মধ্যে ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে সংঘটিত ‘জ্যাকরি বিদ্রোহ' নামে কৃষক বিদ্রোহ খুবই উল্লেখযোগ্য। ১৩৮১ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে ওয়াট টাইলার-এর নেতৃত্বে কৃষক বিদ্রোহ এবং পঞ্চদশ শতকের শেষভাগে সংঘটিত জার্মানির কৃষক বিদ্রোহগুলি ভূমিদাসদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করে।

কৃষিক্ষেত্রে পরিবর্তন : 

নতুন যুগের সূচনায় কৃষিক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়।

  • ১।খাদ্যের প্রয়োজনে জঙ্গলাকীর্ণ স্থান, পশুচারণ ভূমি ও জলাভূমির আমূল সংস্কার করে জমিকে চাষেরযোগ্য করে তোলা হয়। সমুদ্র থেকে বাঁধ দিয়ে বা প্রাচীরের সাহায্যে জমি উদ্ধার করা হয়। বহু অগম্যস্থানে মনুষ্য বসতি নির্মিত হতে থাকে। এইভাবে কৃষিক্ষেত্রের সম্প্রসারণ ঘটে।
  • ২। কৃষিক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়। জমির উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। বছরের পর বছর জমিতে একই শস্য চাষ না করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা শস্য চাষ করা হয়। মাঝে মধ্যে জমিকে অনাবাদীও। রাখা হয়। খনিবিদ্যা ও ধাতুবিদ্যার উন্নতির ফলে কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসে। পুরোনো কাঠের হাতিয়ারের বদলে কৃষিকার্যে লোহার ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। উন্নত মানের কোদাল, লাঙ্গলের ফলা, লোহার মই, খুরপি ও কাস্তের ব্যবহার কৃষিকার্যে অগ্রগতির সূচনা করে। খাল খনন করে সেচ পদ্ধতির উন্নতি ঘটান হয়।
  • ৩। চতুর্দশ শতকের প্লেগ, মহামারি, দুর্ভিক্ষের ফলে জনসংখ্যা হ্রাসের পর পদেশ-ষোড়শ শতকে জনসংখ্যা আবার বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। কৃষির সম্প্রসারণ ও উন্নত কৃষি পদ্ধতি সাধারণ গ্রামীণ মানুষ ও শহরগুলির চাহিদা মিটিয়েছিল। ক্রুসেডের পরবর্তীকালে ইউরোপে যব, আখ, তুলো, পাট, শন, বাজরা, পিচ, লেবু জাতীয় নানা ফল, রেশমগুটি ও নানা সুগন্ধী লতাগুল্মের ব্যাপক চাষ শুরু হয়। ভৌগোলিক আবিষ্কারের ফলে আমেরিকা থেকে নতুন শস্য শালগম ও আলুর চাষ ইউরোপে প্রবর্তিত হয়। পশম শিল্পের চাহিদা মেটাবার জন্য ইংল্যান্ড, ফ্যান্ডার্স, টাস্কানি, লম্বার্ডি ও জার্মানির নানাস্থানে গ্রামের জমিগুলি দখল করে। বিরাট এলাকা জুড়ে ভেড়ার চাষ শুরু হয়। যব, তুলা, রেশমগুটি, আখ, জিরে, মৌরি, শণ, পাট, পশুপালন, আঙুরের চাষ নানাভাবে ইউরোপের কাগজ, সিল্ক, সুতি ও পশমবস্ত্র, চর্মশিল্প এবং মদের কারখানাগুলিকে সমৃদ্ধ করে। শহরের। প্রয়োজন মেটাবার জন্য দুগ্ধশালা, পশু প্রজনন কেন্দ্র ও ব্যাপক সব্জির চাষ শুরু হয়। এইসব দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ অর্থাৎ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষি পণ্যাদির চাষ শুরু হয় এবং তা সফলও হয়।
  • ৪। জনসংখ্যা বুদ্ধি, শহরের উন্মেষ, কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ, ভৌগোলিক আবিষ্কার প্রভৃতির ফলে ইউরোপে নতুন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উত্থান ঘটে। ইতালির ভেনিস, জেনোয়া, পিসা এবং ফ্রান্সের মার্সেই শহর কেবলমাত্র ব্যবসা-বাণিজ্যকে ভিত্তি করে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এর ফলে সামন্ত সমাজে অবক্ষয়ের সূচনা হয়।

Related Short Question:

প্রশ্ন 1: কোন শব্দটি সময়ের সাথে সাথে ইউরোপীয় দেশগুলিতে রাজনৈতিক ব্যবস্থা, মতাদর্শ এবং সামাজিক গতিশীলতার চলমান পরিবর্তন এবং বিকাশকে বোঝায়?

 ক) ইউরোপীয় বিপ্লব

 খ) ইউরোপীয় রেনেসাঁ

 গ) ইউরোপীয় এনলাইটেনমেন্ট

 ঘ) ইউরোপীয় রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তন

 উত্তর: ঘ) ইউরোপীয় রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তন


 প্রশ্ন 2: কোন বিষয়গুলো ইউরোপের রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তনকে প্রভাবিত করেছে?

 ক) ঐতিহাসিক ঘটনা

 খ) অর্থনৈতিক উন্নয়ন

 গ) সাংস্কৃতিক পরিবর্তন

 ঘ) উপরের সবগুলো

 উত্তর: ঘ) উপরের সবগুলো


 প্রশ্ন 3: কোন সংস্থা ইউরোপের রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে?

 ক) জাতিসংঘ

 খ) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা

 গ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন

 ঘ) ন্যাটো

 উত্তর: গ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন


 প্রশ্ন 4: ইউরোপে গণতন্ত্র কীভাবে বিকশিত হয়েছে?

 ক) ইউরোপে সর্বদা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল।

 খ) ইউরোপ রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে।

 গ) ইউরোপের গণতন্ত্র সময়ের সাথে অপরিবর্তিত রয়েছে।

 ঘ) ইউরোপের গণতন্ত্র বহিরাগত শক্তি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত।

 উত্তর: খ) ইউরোপ রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে।


 প্রশ্ন 5: ইউরোপের রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তনে সামাজিক আন্দোলনগুলি কী ভূমিকা পালন করেছে?

 ক) সামাজিক আন্দোলন ইউরোপের রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তনে কোন প্রভাব ফেলেনি।

 খ) সামাজিক আন্দোলন শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করেছে।

 গ) সামাজিক আন্দোলন ইউরোপে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনকে চালিত করেছে।

 ঘ) সামাজিক আন্দোলনগুলি প্রাথমিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।

 উত্তর: গ) সামাজিক আন্দোলন ইউরোপে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনকে চালিত করেছে।


 প্রশ্ন 6: সময়ের সাথে সাথে ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে?

 ক) ক্ষমতার ভারসাম্য ইতিহাস জুড়ে স্থির রয়েছে।

 b) ক্ষমতার ভারসাম্য শুধুমাত্র সামরিক সক্ষমতার দ্বারা নির্ধারিত হয়।

 গ) ক্ষমতার ভারসাম্য ঐতিহাসিক ঘটনা এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

 ঘ) ক্ষমতার ভারসাম্য শুধুমাত্র অর্থনৈতিক শক্তি দ্বারা নির্ধারিত হয়।

 উত্তর: গ) ক্ষমতার ভারসাম্য ঐতিহাসিক ঘটনা এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।


 প্রশ্ন 7: ইউরোপের রাজনৈতিক-সামাজিক বিবর্তন কীভাবে বৈশ্বিক বিষয়কে প্রভাবিত করেছে?

 ক) ইউরোপের বিবর্তন বৈশ্বিক বিষয়ে কোন প্রভাব ফেলেনি।

 খ) ইউরোপের বিবর্তন প্রাথমিকভাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে।

 গ) ইউরোপের বিবর্তন শাসন ও মানবাধিকারের বৈশ্বিক মান নির্ধারণ করেছে।

 ঘ) ইউরোপের বিবর্তন শুধুমাত্র প্রতিবেশী অঞ্চলকে প্রভাবিত করেছে।

 উত্তর: গ) ইউরোপের বিবর্তন শাসন ও মানবাধিকারের বৈশ্বিক মান নির্ধারণ করেছে।

Tags:
Next Post Previous Post

You May Also Like

Editor
ইতিহাস পাঠশালা

যা কিছু প্রাচীন, যা কিছু অতীত তাই হল ইতিহাস৷ ইতিহাস পাঠশালা হল ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত, উত্তরধর্মী, প্রবন্ধ মূলক পাঠ সহায়ক একটি ব্লগ৷ মূলত ইতিহাস বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরাই এই ব্লগের প্রধান লক্ষ্য৷