উনিশ শতকের শেষ এবং বিশ শতকের শুরুর দিকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে এক নতুন ধারার সূচনা হয়, যা 'চরমপন্থা' নামে পরিচিত। নরমপন্থী কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দের আবেদন-নিবেদনের নীতির ব্যর্থতা এবং ব্রিটিশ সরকারের দমনমূলক নীতি এই চরমপন্থী ভাবধারার জন্ম দিয়েছিল। এই চরমপন্থীরা নরমপন্থীদের মতো ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থেকে স্বায়ত্তশাসন নয়, বরং পূর্ণ 'স্বরাজ' বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্য স্থাপন করেন এবং এর জন্য সক্রিয় প্রতিরোধের পথ অবলম্বন করেন।
১. চরমপন্থার উত্থানের পটভূমি/কারণসমূহ:
চরমপন্থী ভাবধারার উত্থানের পিছনে একাধিক কারণ বিদ্যমান ছিল:
* নরমপন্থীদের ব্যর্থতা: ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে নরমপন্থীরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে আবেদন-নিবেদন, সভা-সমিতি, প্রস্তাব ও স্মারকলিপির মাধ্যমে কোনো উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অধিকার আদায় করতে পারেননি। সীমিত সাংবিধানিক সংস্কার (যেমন, ১৮৯২ সালের ভারত শাসন আইন) জনমনে গভীর হতাশার সৃষ্টি করে। এই ব্যর্থতা চরমপন্থার জন্ম দেয়।
* ব্রিটিশ সরকারের দমননীতি ও ঔদ্ধত্য: লর্ড কার্জন, লর্ড লিটন প্রমুখ ভাইসরয়দের সাম্রাজ্যবাদী ও দমনমূলক নীতি ভারতীয়দের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বিশেষত, লর্ড কার্জনের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ যেমন – কলকাতা কর্পোরেশন আইন (১৮৯৯), বিশ্ববিদ্যালয় আইন (১৯০৪), সরকারি গুপ্তকথা আইন (১৯০৪) এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) চরমপন্থার আগুনে ঘি ঢালে। ব্রিটিশ সরকারের বিভেদনীতিও চরমপন্থীদের উৎসাহিত করে।
* রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অসন্তোষ: বারবার দুর্ভিক্ষ (১৮৯৬-৯৭, ১৮৯৯-১৯০০), প্লেগ মহামারী, অর্থনৈতিক শোষণ, বেকারত্ব এবং জনজীবনে চরম দারিদ্র্য বৃদ্ধি ভারতীয়দের ব্রিটিশ শাসনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। দাদাভাই নওরোজি, আর.সি. দত্ত প্রমুখের 'সম্পদ নিষ্কাসন তত্ত্ব' (Drain Theory) এই ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
* জাতীয় চেতনার উন্মেষ ও আত্মশক্তির জাগরণ: স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখের লেখা ও দর্শন ভারতীয়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও জাতীয়তাবাদী চেতনার সঞ্চার করে। বঙ্কিমচন্দ্রের 'আনন্দমঠ' ও 'বন্দেমাতরম' সঙ্গীত এবং স্বামী বিবেকানন্দের 'ভারতবর্ষের আত্মচেতনা' ফিরিয়ে আনার আহ্বান যুবকদের অনুপ্রাণিত করে। বাল গঙ্গাধর তিলক গণপতি উৎসব ও শিবাজী উৎসবের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের মানুষদের সংগঠিত করেন।
* আন্তর্জাতিক প্রভাব: কিছু আন্তর্জাতিক ঘটনা চরমপন্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল:
* ১৮৯৬ সালে ইতালির বিরুদ্ধে ইথিওপিয়ার অ্যাডোয়ার যুদ্ধে জয়লাভ।
* ১৯০৪-০৫ সালের রুশ-জাপান যুদ্ধে ক্ষুদ্র এশীয় শক্তি জাপানের কাছে বৃহৎ ইউরোপীয় শক্তি রাশিয়ার পরাজয়।
* আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক, মিশর, পারস্য, চিন প্রভৃতি দেশে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চরমপন্থীদের অনুপ্রাণিত করে।
* শিক্ষিত যুবকদের মোহভঙ্গ: শিক্ষিত ভারতীয় যুবকরা নরমপন্থীদের আবেদন-নিবেদন নীতিতে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। তারা দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন চেয়েছিল এবং মনে করেছিল যে, ব্রিটিশদের সঙ্গে আপস করে নয়, বরং সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমেই স্বরাজ অর্জন সম্ভব।
২. চরমপন্থী আন্দোলনের মূলনীতি ও কর্মসূচি:
চরমপন্থীরা মূলত চারটি প্রধান নীতি বা 'চতুর্মুখী কর্মসূচি'তে বিশ্বাসী ছিলেন:
* স্বরাজ (Swaraj): চরমপন্থীদের মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ণ স্বরাজ বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা। তারা নরমপন্থীদের মতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে স্বায়ত্তশাসন বা সাংবিধানিক সংস্কারে সন্তুষ্ট ছিলেন না। বাল গঙ্গাধর তিলক ঘোষণা করেন, "স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং আমি তা অর্জন করবই" (Swaraj is my birthright, and I shall have it)।
* স্বদেশী (Swadeshi): এই নীতির অর্থ ছিল নিজেদের দেশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করা এবং বিদেশী পণ্য বর্জন করা। এটি ছিল দেশের শিল্প, কৃষি ও অর্থনীতির উন্নয়নের মূল ভিত্তি। এর উদ্দেশ্য ছিল দেশের অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করা এবং ব্রিটিশ অর্থনীতির উপর আঘাত হানা।
* বয়কট (Boycott): এটি ছিল বিদেশী পণ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি আদালত, আইনসভা এবং এমনকি সরকারি উপাধি বর্জন করার একটি পদ্ধতি। বয়কটের মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রশাসনকে অচল করে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য।
* জাতীয় শিক্ষা (National Education): চরমপন্থীরা ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত, জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত এক নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এর মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তোলা এবং তাদের দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগানোই ছিল উদ্দেশ্য।
* নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ (Passive Resistance): অরবিন্দ ঘোষ এই নীতির প্রধান প্রবক্তা ছিলেন। এর অর্থ ছিল ব্রিটিশ সরকারের অন্যায় ও নিপীড়নমূলক আইনের বিরুদ্ধে সকল প্রকার সরকারি সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া। এটি আইন অমান্য আন্দোলনের এক প্রাথমিক রূপ ছিল।
* আত্মশক্তি (Self-Reliance): নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো।
* গণবর্জন ও গণআন্দোলন (Mass Boycott and Mass Movement): নরমপন্থীরা যেখানে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন, চরমপন্থীরা সেখানে সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেন।
৩. প্রধান চরমপন্থী নেতৃবৃন্দ:
চরমপন্থী আন্দোলনের তিন প্রধান নেতা ছিলেন, যারা "লাল-বাল-পাল" নামে পরিচিত:
* বাল গঙ্গাধর তিলক (Bal Gangadhar Tilak): মহারাষ্ট্রের নেতা। তিনি 'লোকমান্য' উপাধিতে ভূষিত হন। মারাঠি ভাষায় 'কেশরী' এবং ইংরেজি ভাষায় 'মারাঠা' নামক দুটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। তিনি 'গণপতি উৎসব' ও 'শিবাজী উৎসব' প্রবর্তন করে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তোলেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে "ভারতীয় অস্থিরতার জনক" (Father of Indian Unrest) আখ্যা দেয়।
* বিপিন চন্দ্র পাল (Bipin Chandra Pal): বাংলার এক অন্যতম চরমপন্থী নেতা, যিনি সাংবাদিক ও বাগ্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি 'নিউ ইন্ডিয়া' ও 'বন্দেমাতরম' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
* লালা লাজপত রায় (Lala Lajpat Rai): পাঞ্জাবের নেতা, যিনি 'শের-ই-পাঞ্জাব' (Punjab Kesari) নামে পরিচিত। তিনি 'পাঞ্জাবী' ও 'দ্য পিপল' পত্রিকা প্রকাশ করেন।
* অরবিন্দ ঘোষ (Aurobindo Ghosh): বাংলার আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরমপন্থী নেতা। তিনি 'বন্দেমাতরম' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের ধারণার প্রবক্তা। পরে তিনি রাজনীতি ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক সাধনার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
৪. চরমপন্থী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ:
* বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) ও স্বদেশী আন্দোলন:
* বঙ্গভঙ্গ: লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর বাংলা প্রদেশকে প্রশাসনিক সুবিধার অজুহাতে ভাগ করে দেন। এর ফলে এক নতুন প্রদেশ 'পূর্ববঙ্গ ও আসাম' গঠিত হয়। এর আসল উদ্দেশ্য ছিল 'ভাগ করো ও শাসন করো' নীতি অনুসরণ করে বাংলার শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করা।
* স্বদেশী আন্দোলন: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার টাউন হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক বিরাট সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে স্বদেশী ও বয়কট প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৬ই অক্টোবর বঙ্গভঙ্গের দিনটি 'শোক দিবস' ও 'রাখিবন্ধন দিবস' হিসেবে পালিত হয়। এই আন্দোলন চরমপন্থীদের নেতৃত্বে ব্যাপকতা লাভ করে।
* আন্দোলনের পদ্ধতি: সভা-সমিতি, শোভাযাত্রা, পিকেটিং, বিদেশী পণ্য বর্জন, স্বদেশী দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি।
* জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: স্বদেশী আন্দোলনের ফলস্বরূপ বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ (অধ্যাপক অরবিন্দ ঘোষ), জাতীয় বিদ্যালয় ও কলেজ গড়ে ওঠে। ১৯০৬ সালে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়।
* স্বদেশী শিল্প: টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি (১৯০৭), বেঙ্গল কেমিক্যালস, লক্ষ্মী কটন মিল ইত্যাদি স্বদেশী উদ্যোগের জন্ম হয়।
* সাহিত্য ও সংস্কৃতি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন, মুকুন্দ দাস প্রমুখের দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা জাতীয়তাবাদী চেতনায় নতুন মাত্রা যোগ করে।
* সুরাট বিভাজন (১৯০৭):
* ১৯০৭ সালে সুরাটে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মধ্যে নীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে চরম মতবিরোধ দেখা দেয়।
* কারণ ছিল নরমপন্থীরা (রাসবিহারী ঘোষ) চরমপন্থীদের (লালা লাজপত রায়/তিলক) কংগ্রেসের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ ছিল এবং চরমপন্থীরা নরমপন্থীদের আবেদন-নিবেদনের নীতি ত্যাগ করে স্বদেশী ও বয়কট কর্মসূচিকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
* এই মতবিরোধের ফলে কংগ্রেস নরমপন্থী ও চরমপন্থী—এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
* মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন (১৯০৯): ব্রিটিশ সরকার চরমপন্থীদের আন্দোলনকে দুর্বল করার এবং নরমপন্থীদের শান্ত করার উদ্দেশ্যে এই আইন পাস করে। এর মাধ্যমে আইনসভাগুলিতে ভারতীয়দের সীমিত প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হয় এবং মুসলিমদের জন্য পৃথক নির্বাচন মণ্ডলীর ব্যবস্থা করা হয়, যা ব্রিটিশদের 'ভাগ করো ও শাসন করো' নীতিরই অংশ ছিল।
৫. চরমপন্থার প্রভাব ও গুরুত্ব:
* জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে নতুন গতি: চরমপন্থীরা ভারতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন গতিশীলতা নিয়ে আসে। তারা নরমপন্থীদের নিষ্ক্রিয়তা কাটিয়ে সক্রিয় প্রতিরোধ ও গণআন্দোলনের পথ দেখায়।
* জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি: চরমপন্থীরা সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত করে। তাদের প্রভাবে রাজনৈতিক সচেতনতা কেবল শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজের নিম্নবর্গীয় মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
* 'স্বরাজ' ধারণার জনপ্রিয়তা: চরমপন্থীরাই প্রথম 'স্বরাজ' বা পূর্ণ স্বাধীনতার ধারণাটিকে জনপ্রিয় করে তোলে, যা পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়।
* ব্রিটিশ সরকারের নীতি পরিবর্তন: চরমপন্থীদের আন্দোলনের চাপেই ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের কিছু দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং সাংবিধানিক সংস্কারের পথে এগোয়, যদিও তা ছিল সীমিত। বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১) চরমপন্থীদের আন্দোলনের একটি বড় সাফল্য ছিল।
* ভবিষ্যৎ আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন: চরমপন্থীরা অসহযোগ, বয়কট, স্বদেশী ও নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের যে কৌশলগুলি গ্রহণ করেছিলেন, তা মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভবিষ্যতের গণআন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
উপসংহার:
ভারতীয় রাজনীতিতে চরমপন্থার উত্থান ছিল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যদিও সুরাট বিভাজন এবং ব্রিটিশ দমননীতির কারণে চরমপন্থীরা সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল, কিন্তু তারা ভারতীয় রাজনীতিতে যে আত্মমর্যাদা, আত্মনির্ভরশীলতা এবং গণআন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন, তা ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের দেখানো পথেই ভবিষ্যতে মহাত্মা গান্ধী জনগণের অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন।