ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | অষ্টম শ্রেণির তৃতীয় অধ্যায় - পাঠটীকা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

★★★★★
দুটি গুরুত্বপূর্ণ আইন ছিল ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্ট এবং ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন।

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা


ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আদতে ছিল একটি বণিক সংস্থা। ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্যের স্বার্থে তারা কতগুলি ঘাঁটি তৈরি করেছিল। সেই ঘাঁটিগুলির মধ্যে ছিল মাদ্রাজ, বোম্বাই ও কলকাতা। কালক্রমে এই তিনটি বাণিজ্যঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল। (১৬১১ ও ১৬১২ খ্রিস্টাব্দে যথাক্রমে মসুলিপটনম ও সুরাটকে ঘাঁটি করে ব্রিটিশ কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চলতে থাকে।) পরে (১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজে একটি বাণিজ্যিক ঘাঁটি বানায় কোম্পানি। মাদ্রাজপটনম গ্রামে সেন্ট জর্জ দুর্গও বানায় ব্রিটিশ কোম্পানি। ক্রমে সেন্ট জর্জ ও মাদ্রাজকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় সেন্ট জর্জ দুর্গ প্রেসিডেন্সি বা মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি।) মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত অঞ্চলগুলির মধ্যে দক্ষিণ ভারতের বিরাট অংশ পড়েছিল। আজকের তামিলনাড়ু, কেরালা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু অঞ্চলের পাশাপাশি, কর্ণাটক ও দক্ষিণ উড়িষ্যার বেশ কিছু অঞ্চলও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্রেসিডেন্সির দুটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। গ্রীষ্মকালে ওটাকামুন্দ ও শীতকালে মাদ্রাজ।

(বোম্বাই প্রেসিডেন্সির মূল গোড়াপত্তন হয়েছিল সুরাটে ব্রিটিশ কোম্পানির ঘাঁটি বানানোকে কেন্দ্র করে। ধীরে ধীরে পশ্চিম ও মধ্য ভারত এবং আরব সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলগুলি মিলে বোম্বাই প্রেসিডেন্সি তৈরি হয়।) সিন্ধু প্রদেশও এই প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ছিল। গোড়ার দিকে এই প্রেসিডেন্সিটি পশ্চিম প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত ছিল। তবে সুরাটের ক্রমে বাণিজ্যকেন্দ্র হিসাবে অবনতি হতে থাকে। পাশাপাশি বোম্বাই উন্নত হতে থাকে। ফলে, ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বোম্বাইকে ঘিরেই ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপ বিস্তৃত হতে থাকে।

কলকাতাকে ঘিরে পূর্বভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কার্যকলাপ দ্রুততর হয়েছিল। ধীরে ধীরে কলকাতাই হয়ে উঠেছিল ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি যখন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার পায়, তখন থেকেই বাংলার উপর কোম্পানির কর্তৃত্ব গড়ে উঠতে থাকে। ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে নিজামতের অধিকার পায় ব্রিটিশ কোম্পানি। এইভাবে দেওয়ানি ও নিজামত – দুই অধিকার পেয়ে বাংলায় ব্রিটিশ কোম্পানির অধিকার চূড়ান্ত হয়। বাংলাতেও গড়ে ওঠে প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা।( বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চল মিলে ছিল বাংলা প্রেসিডেন্সি।) ধীরে ধীরে এই প্রেসিডেন্সিতে যুক্ত হয়েছিল আরও বহু অঞ্চল। পঞ্জাব, উত্তর ও মধ্য ভারতের অঞ্চলগুলি এবং গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলও বাংলা প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ছিল। মাদ্রাজের মতো কলকাতাতেও ব্রিটিশ কোম্পানি দুর্গ (ফোর্ট উইলিয়ম) বানিয়েছিল। তাই বাংলা প্রেসিডেন্সিকে ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ প্রেসিডেন্সিও বলা হতো এক সময়ে। এইভাবে তিনটি প্রেসিডেন্সিকে কেন্দ্র করে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কার্যকলাপ গড়ে উঠেছিল। গোড়ার দিকে মাদ্রাজ, বোম্বাই ও কলকাতার ঘাঁটিগুলি তিনটি আলাদা পরিষদ বা Council-এর মাধ্যমে পরিচালিত হতো। লন্ডনে ব্রিটিশ কোম্পানির যে পরিচালকগোষ্ঠী বা Council of Directors ছিল, তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে চলত তিনটি কাউন্সিল । কাউন্সিলের একজন সদস্যকে ঐ ঘাঁটির গভর্নর নির্বাচিত করা হতো।

কিন্তু ধীরে ধীরে ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির বণিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের উপর ব্রিটেনের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার প্রসঙ্গ ওঠে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সে বিষয়ে নানা আইন তৈরি করা হয়। সেই সব আইন মোতাবেক ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া কাজ-কারবারের উপর সরাসরি ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ বলবৎ হয়। এই রকম দুটি গুরুত্বপূর্ণ আইন ছিল ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্ট এবং ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করলেও গোড়ায় মুঘল ব্যবস্থাই ছিল দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারের মাপকাঠি। তবে কোম্পানির অনেক কর্মচারী ঐ ব্যবস্থার মধ্যে নানা রকম গরমিলের অভিযোগ তুলত।

১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি দ্বৈত শাসনব্যবস্থা তুলে দিয়ে সরাসরি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করে। সেই সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের কাজ শুরু করেন। কোম্পানির শাসনকে একটি স্থায়ী ও নিশ্চিত সংগঠিত রূপ দেওয়ার পিছনে হেস্টিংসের ও পরে লর্ড কর্নওয়ালিসের সংস্কারগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।


রেগুলেটিং অ্যাক্ট ও পিট প্রণীত ভারত শাসন আইন


  • (i) ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুসারে মাদ্রাজ, বোম্বাই ও বাংলা প্রেসিডেন্সি তিনটির স্বতন্ত্র কার্যকলাপের উপর হস্তক্ষেপ করা হয়। 
  • (ii) গভর্নর জেনারেল বলে নতুন একটি পদ তৈরি করা হয়।
  • (iii) ঠিক করা হয় বাংলার গভর্নরই হবেন গভর্নর জেনারেল। তাঁর অধীনেই মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ের বাণিজ্যিক ঘাঁটিগুলির গভর্নরেরা থাকবেন। 
  • (iv) গভর্নর জেনারেল পদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
  • (v) চারজন সদস্য নিয়ে তৈরি হবে একটি গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিল। 
বস্তুত, এই আইনের ফলে কলকাতা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের রাজধানীতে পরিণত হয়।

১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী উইলিয়ম পিট (যাঁকে William Pitt, the younger বলা হতো) নতুন একটি আইন বানান। সেই আইনকে পিট প্রণীত বা পিটের ভারত শাসন আইন বলা হয়। ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি ঐ আইনটি বলবৎ হয়। এর ফলে ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপের উপর ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নজরদারি নিশ্চিত হয়েছিল।

(i) পিট প্রণীত আইন মোতাবেক একটি বোর্ড অফ কন্ট্রোল তৈরি করা হয়। সেই বোর্ডকে কোম্পানির সামরিক ও অসামরিক শাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ঐ আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে, (ii) ভারতে কোম্পানির সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাই গভর্নর জেনারেলের কর্তৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য।

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | অষ্টম শ্রেণির তৃতীয় অধ্যায় - পাঠটীকা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর আলোচনা

১। ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে কয়টি প্রেসিডেন্সিতে বিভক্ত করেছিল ও কি কি?

✅ ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে তিনটি প্রেসিডেন্সিতে বিভক্ত করেছিল। যথা -
  • ✳️ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি 
  • ✳️ বোম্বাই প্রেসিডেন্সি এবং 
  • ✳️ কলকাতা প্রেসিডেন্ট
২। মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অপর নাম কি ছিল?

✅ সেন্ট জর্জ দুর্গো প্রেসিডেন্সি।

৩। মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কোন কোন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল?

✅ তামিলনাড়ু কেরল ও অন্ধপ্রদেশের বেশ কিছু অংশ।

৪। মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কয়টি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল ও কি কি?

✅ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির দুটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।
  • ✳️ গ্রীষ্মকালে - ওটাকামুন্দ
  • ✳️ শীতকালে - মাদ্রাজ
৫। কলকাতা প্রেসিডেন্সির অপর নাম কি ছিল?

✅ বাংলা প্রেসিডেন্সি বা ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ প্রেসিডেন্সি

৬। কোন কোন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বাংলা প্রেসিডেন্সি গড়ে উঠেছিল?

✅  বাংলা বিহার উড়িষ্যা আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চল।

৭। প্রেসিডেন্সি গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করত কারা?

✅ লন্ডনের কাউন্সিল অফ ডাইরেক্টর (Council of Directors)

৮। কাউন্সিল অফ ডাইরেক্টর কার মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি গুলি শাসন করত? 

✅ একজন গভর্নর এর মাধ্যমে

৯। কত সালে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বাংলা থেকে তুলে দেয়া হয়?

✅ ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে

১০। কে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা তুলে দিয়েছিলেন?

✅ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিং

১১। কত সালে রেগুলেটিং অ্যাক্ট জারি করা হয়েছিল?

✅ ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে

১২। কত সালে পিটের ভারত শাসন আইন জারি করা হয়?

✅ ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে

১৩। পিটে ভারত শাসন আইন কে জারি করেন?

✅ ইংল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট

অরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

রেগুলেটিং অ্যাক্ট কি?

ভারতবর্ষে কোম্পানী অনমনীয় নীতি গ্রহণের ফলে ভারতবাসীর চরম দুদর্শী উপলব্ধি করে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কোম্পানীর কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য The East India Company act. 1773 নামে একটি আইন পাশ করে। এই আইনটি রেগুলেটিং অ্যাক্ট নামে পরিচিত।

রেগুলেটিং অ্যাক্ট-এ কোন্ কোন্ পরিবর্তনের কথা বলা হয়? 

এই আইন অনুসারে 
  • (১) বাংলার গভর্নরকে 'গর্ভনর জেনারেল' বলে অভিহিত করা হয়।
  • (২) গভর্নর ও চারজন সদস্যের কাউন্সিলের উপর শাসনভার অর্পিত হয়। 
  • (৩) সদস্যদের কার্যকাল পাঁচ বছর স্থির হয়। 
  • (৪) মাদ্রাজ ও বোম্বাই প্রেসিডেন্সিকে বাংলা প্রেসিডেন্সির নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়।
  • (৫) এই আইন অনুসারে সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।

রেগুলেটিং অ্যাক্ট এর গুরুত্ব আলোচনা কর। 

রেগুলেটিং অ্যাক্ট-এর গুরুত্ব হল এই আইন—
  • (১) ব্রিটিশ ভারতের প্রথম লিখিত আইন।
  • (২) ভারতে নিয়মতান্ত্রিক শাসনের সূচনা করে। 
  • (৩) ভারতে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হয়। 
  • (৪) এর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার কোম্পানীর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়। 
  • (৫) এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা হয়।

কোন্ আইনের দ্বারা বাংলার গভর্নরকে ‘গভর্নর জেনারেল' আখ্যা দেওয়া হয়। এই সময় বাংলার গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং অ্যাক্ট দ্বারা বাংলার গভর্নরকে গভর্নর জেনারেল আখ্যা দেওয়া হয়।

✳️ ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল।

পিটের ভারত শাসন আইন কী?

রেগুলেটিং অ্যাক্ট-এর ত্রুটীগুলি দূর করার উদ্দেশ্যে ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দ ইংল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিটের উদ্দ্যোগে একটি আইন পাশ হয় যা পিটের India Act বা পিটের ভারত শাসন আইন নামে পরিচিত।

পিটের ভারত শাসন আইনের উদ্দেশ্যগুলি কি কি ? 

পিটের ভারত শাসন আইনের উদ্দেশ্যগুলি হল –
  • (১) ভারতের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোম্পানীর ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রন করা 
  • (২) গভর্নর জেনারেলের চারজন সদস্যের পরিবর্তে তিনজন করা। 
  • (৩) মাদ্রাজ ও বোম্বাই প্রেসিডেন্সির ওপর বাংলার গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট করা।

পিটের ভারত শাসন আইনের গুরুত্ব কি?

এই আইন পাশ হওয়ার ফলে
  • (১) রেগুলেটিং অ্যাক্টের ত্রুটীগুলি অনেকটাই দূর হয়। 
  • (২) বোম্বাই ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ওপর বাংলার গভর্নর জেনারেল নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। 
  • (৩) তিন জন সদস্য নিয়ে গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিল গঠিত হয়। যার মধ্যে একজন হবেন কোম্পানীর সেনাধ্যক্ষ। 
  • (৪) ব্রিটিশ অর্থসচিব, একজন রাষ্ট্রসচিব, ও ইংল্যান্ড রাজ মনোনীত চারজন সদস্য নিয়ে রোড-অফ-কন্ট্রোল গঠিত হয়।
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের (অন্যান্য অধ্যায়ে) প্রশ্ন ও উত্তর পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো।

অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস। প্রথম অধ্যায়  👉 এখানে ক্লিক করো
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস। দ্বিতীয় অধ্যায় 👉 এখানে ক্লিক করো
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস। তৃতীয় অধ্যায় 👈 আরো জানতে 👉 এখানে ক্লিক করো
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস। চতুর্থ অধ্যায় 👉 এখানে ক্লিক করো
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস। পঞ্চম অধ্যায় 👉 এখানে ক্লিক করো
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস। ষষ্ঠ অধ্যায় 👉 এখানে ক্লিক করো
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস। সপ্তম অধ্যায় 👉 এখানে ক্লিক করো

অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস: অধ্যায় ২: অনুশীলনী প্রশ্ন ৪/ঙ, আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

বাংলা প্রেসিডেন্সী কবে গড়ে উঠেছিল?

১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে

মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী কবে গড়ে উঠেছিল?

১৮০১ খ্রিষ্টাব্দে

বোম্বাই প্রেসিডেন্সী কবে গড়ে উঠেছিল?

১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে

Tags:
Next Post Previous Post

You May Also Like

Editor
ইতিহাস পাঠশালা

যা কিছু প্রাচীন, যা কিছু অতীত তাই হল ইতিহাস৷ ইতিহাস পাঠশালা হল ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত, উত্তরধর্মী, প্রবন্ধ মূলক পাঠ সহায়ক একটি ব্লগ৷ মূলত ইতিহাস বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরাই এই ব্লগের প্রধান লক্ষ্য৷