খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ষষ্ঠ শতকে (৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ভারতের গাঙ্গেয় উপত্যকায়, বিশেষত ষোড়শ মহাজনপদের উত্থানের প্রেক্ষাপটে, প্রচলিত বৈদিক ধর্মের জটিলতা, যাগযজ্ঞ ও জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে নতুন দার্শনিক ও সামাজিক মতবাদের উন্মেষ ঘটে। এই সময়ে যে দুটি প্রধান ধর্মীয় আন্দোলন ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল, সেগুলি হলো বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম। এই দুটি ধর্মই তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে সরল জীবনযাপন, অহিংসা এবং আত্মোপলব্ধির বার্তা নিয়ে এসেছিল।
### ১. বৌদ্ধধর্ম (Buddhism)
প্রতিষ্ঠাতা ও জীবন:
* প্রতিষ্ঠাতা: গৌতম বুদ্ধ (আসল নাম সিদ্ধার্থ গৌতম)। তিনি শাক্যমুনি (শাক্য বংশের ঋষি), তথাগত (সত্যপ্রাপ্ত), এবং বুদ্ধ (জ্ঞানপ্রাপ্ত) নামেও পরিচিত।
* জন্ম: ৫৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নেপালের লুম্বিনী নামক স্থানে (কপিলবাস্তুর নিকট)। তাঁর পিতা ছিলেন শাক্য প্রজাতন্ত্রের প্রধান শুদ্ধোধন এবং মাতা মায়াদেবী।
* গৃহত্যাগ (মহাপরিনিষ্ক্রমণ): ২৯ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করে সত্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন।
* জ্ঞানপ্রাপ্তি (নির্বাণ/সম্বোধি): ৩৫ বছর বয়সে বুদ্ধগয়াতে (নিরঞ্জনা/ফাল্গু নদীর তীরে, অশ্বত্থ গাছের নিচে) নির্বাণ লাভ করেন।
* প্রথম ধর্মপ্রচার (ধর্মচক্র প্রবর্তন): সারনাথের মৃগদাবে পাঁচজন শিষ্যের কাছে প্রথম ধর্মোপদেশ দেন।
* মহাপরিনির্বাণ (মৃত্যু): ৪৪৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ৮০ বছর বয়সে কুশিনগরে (উত্তরপ্রদেশ) দেহত্যাগ করেন।
বৌদ্ধ ধর্ম ও জৈন ধর্ম ২০১ টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
বৌদ্ধধর্মের মূলনীতি:
বৌদ্ধধর্মের মূল ভিত্তি হলো "চার আর্য সত্য" এবং "অষ্টাঙ্গিক মার্গ"।
1. চার আর্য সত্য (Four Noble Truths):
* দুঃখ: জীবন দুঃখময়। (এই পৃথিবী দুঃখ, কষ্ট ও হতাশায় পূর্ণ)।
* দুঃখের কারণ: তৃষ্ণা/কামনা দুঃখের মূল কারণ। (মানুষের অতৃপ্ত বাসনা হলো দুঃখের মূল কারণ)।
* দুঃখ নিবারণ: তৃষ্ণার নিবৃত্তি ঘটলে দুঃখের নিবারণ হয়। (বাসনা ত্যাগ করলে দুঃখ দূর হয়)।
* দুঃখ নিবারণের পথ: অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করলে দুঃখ নিবারণ সম্ভব। (দুঃখ দূর করার জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গই একমাত্র পথ)।
2. অষ্টাঙ্গিক মার্গ (Eightfold Path): দুঃখ দূর করার আটটি পথ হলো:
* সৎ সংকল্প (Right Resolve)
* সৎ বাক্য (Right Speech)
* সৎ কর্ম (Right Action)
* সৎ জীবনধারণ (Right Livelihood)
* সৎ চেষ্টা (Right Effort)
* সৎ স্মৃতি (Right Mindfulness)
* সৎ সমাধি (Right Concentration)
* সৎ বিশ্বাস/দৃষ্টি (Right Understanding)
3. অন্যান্য মূলনীতি:
* কর্মফল: কর্মফল অনুযায়ী পুনর্জন্ম হয়।
* অহিংসা: সকল জীবের প্রতি অহিংসা।
* অনীশ্বরবাদ: ঈশ্বর সম্পর্কে নীরবতা।
* আত্মা সম্পর্কে অনীহা: আত্মা সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি।
* নির্বাণ: জন্ম-মৃত্যুচক্র থেকে মুক্তি, পরম শান্তি।
বৌদ্ধ সংগীতি (Buddhist Councils): প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংগীতি | সময় | স্থান | পৃষ্ঠপোষক | সভাপতি | প্রধান সিদ্ধান্ত/গুরুত্ব |
---|---|---|---|---|---|
প্রথম | ৪৪৮ খ্রি.পূ. | রাজগৃহ | অজাতশত্রু (হর্যঙ্ক বংশ) | মহাকাশ্যপ | বুদ্ধের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত। ত্রিপিটকের বিনয়পিটক ও সুত্তপিটক সংকলন। |
দ্বিতীয় | ৩৮৩ খ্রি.পূ. | বৈশালী | কালাশোক (শিশুনাক বংশ) | সবকামী | বৌদ্ধসংঘ স্থবিরবাদী ও মহাসাংঘিক - এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। |
তৃতীয় | ২৫০ খ্রি.পূ. | পাটলিপুত্র | সম্রাট অশোক (মৌর্য বংশ) | মোগ্গলিপুত্ততিস্স | অভিধম্মপিটক সংকলন। বিভাজ্যবাদ (Vibhajyavada) প্রতিষ্ঠিত হয়। বৌদ্ধধর্মের ব্যাপক প্রচার। |
চতুর্থ | ৭৮ খ্রিষ্টাব্দ | কাশ্মীর (কুণ্ডলবন) | কণিষ্ক (কুষাণ বংশ) | বসুমিত্র (অশ্বঘোষ সহ-সভাপতি) | বৌদ্ধধর্ম হীনযান ও মহাযান - এই দুই প্রধান শাখায় বিভক্ত হয়। সংস্কৃত ভাষায় ধর্মগ্রন্থ রচনা শুরু। |
বৌদ্ধ সাহিত্য:
* ত্রিপিটক (Tripitaka): বৌদ্ধধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। পালি ভাষায় রচিত।
* বিনয়পিটক (Vinaya Pitaka): সংঘের নিয়মকানুন ও শৃঙ্খলা। (উপালি সংকলন করেন)।
* সুত্তপিটক (Sutta Pitaka): বুদ্ধের উপদেশ ও বাণী। (আনন্দ সংকলন করেন)।
* অভিধম্মপিটক (Abhidhamma Pitaka): বৌদ্ধধর্মের দার্শনিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ।
* জাতক কাহিনী (Jataka Tales): বুদ্ধের পূর্বজন্মের কাহিনী।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভাজন:
* হীনযান (Hinayana/Theravada):
* বুদ্ধকে একজন আদর্শ মানব হিসেবে পূজা করে।
* প্রাচীন বৌদ্ধধর্মের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করে।
* আত্ম-সাধনার মাধ্যমে নির্বাণ লাভে বিশ্বাসী।
* মূর্তি পূজার বিরোধী।
* পালি ভাষায় রচিত ত্রিপিটককে অনুসরণ করে।
* মূলত শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ডে প্রচলিত।
* মহাযান (Mahayana):
* বুদ্ধকে ঈশ্বর বা ত্রাণকর্তা হিসেবে পূজা করে।
* বোধিসত্ত্ব ধারণায় বিশ্বাসী (যারা নির্বাণ লাভ করেও মানবজাতির কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে অবস্থান করেন)।
* মূর্তি পূজার প্রচলন।
* সংস্কৃত ভাষায় রচিত ধর্মগ্রন্থ অনুসরণ করে।
* মূলত চীন, জাপান, কোরিয়া, তিব্বতে প্রচলিত।
* বজ্রযান (Vajrayana): মহাযানের একটি উপশাখা, যা তান্ত্রিক রীতিনীতি ও মন্ত্রের উপর জোর দেয়। তিব্বতে এর ব্যাপক প্রচলন আছে।
বৌদ্ধধর্মের বিস্তার ও পৃষ্ঠপোষকতা:
* বুদ্ধের জীবদ্দশাতেই মগধের রাজা বিম্বিসার ও অজাতশত্রু বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
* সম্রাট অশোক (মৌর্য): তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি আহ্বান করেন এবং ধম্ম প্রচারের মাধ্যমে বৌদ্ধধর্মকে বিশ্বধর্মে পরিণত করেন। তাঁর পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে শ্রীলঙ্কায় ধর্ম প্রচারে পাঠান।
* কণিষ্ক (কুষাণ): চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি আহ্বান করেন এবং মহাযান বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
* হর্ষবর্ধন (বংশ): কনৌজের রাজা হর্ষবর্ধন মহাযান বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং তাঁর রাজত্বকালে ভারত সফর করেন।
* পাল রাজারাও (ধর্মপাল, দেবপাল) বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
বৌদ্ধধর্মের পতনের কারণ:
* অভ্যন্তরীণ কারণ:
* সংঘে দুর্নীতি ও বিলাসিতা।
* সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার ও জটিলতা বৃদ্ধি।
* মহাযানের মাধ্যমে মূর্তি পূজা ও বৈদিক প্রথার প্রভাব।
* বাহ্যিক কারণ:
* ব্রাহ্মণ ধর্মের পুনরুত্থান ও পৃষ্ঠপোষকতা (কুমারিল ভট্ট, শঙ্করাচার্য)।
* শৈব ও বৈষ্ণব ধর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি।
* হুন আক্রমণ (৫ম-৬ষ্ঠ শতক) এবং তুর্কি আক্রমণ (১১শ-১২শ শতক) - বিশেষ করে বখতিয়ার খলজির আক্রমণে নালন্দা ও বিক্রমশীলার মতো বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস।
বৌদ্ধধর্মের গুরুত্ব:
* সামাজিক: জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা করে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা। নারীদের সংঘে প্রবেশের অধিকার প্রদান।
* শিক্ষা ও সংস্কৃতি: নালন্দা, বিক্রমশীলা, ওদন্তপুরীর মতো বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।
* শিল্প ও স্থাপত্য: স্তূপ, চৈত্য, বিহার, গুহাচিত্র (যেমন অজন্তা) এবং বুদ্ধ মূর্তি নির্মাণে বিশাল অবদান।
* ভাষা: পালি ভাষার বিকাশ ও প্রচারে সহায়তা করে।
### ২. জৈনধর্ম (Jainism)
প্রতিষ্ঠাতা ও তীর্থংকর:
জৈনধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মোট ২৪ জন তীর্থংকর (আধ্যাত্মিক শিক্ষক) ছিলেন।
* প্রথম তীর্থংকর: ঋষভনাথ (আদিনাথ)।
* ২৩শ তীর্থংকর: পার্শ্বনাথ। তিনি চারটি মূল নীতি দেন: অহিংসা, সত্য, অস্তেয় (চুরি না করা) ও অপরিগ্রহ (সম্পত্তি ত্যাগ)।
* ২৪শ ও শেষ তীর্থংকর: বর্ধমান মহাবীর (আসল প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত)।
২৪ জন তীর্থঙ্কর এবং তাঁদের প্রতীক
বর্ধমান মহাবীরের জীবন:
* জন্ম: ৫৪০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে বৈশালীর নিকট কুন্দগ্রাম নামক স্থানে। পিতা সিদ্ধার্থ (জ্ঞাতৃক ক্ষত্রিয় বংশের প্রধান) এবং মাতা ত্রিশলা (লিচ্ছবি প্রধান চেতকের বোন)।
* গৃহত্যাগ: ৩০ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করেন।
* জ্ঞানপ্রাপ্তি (কৈবল্য): ১২ বছর কঠোর তপস্যার পর ৪২ বছর বয়সে জৃম্ভিকগ্রামের কাছে ঋজুপালিকা নদীর তীরে শাল গাছের নিচে 'কৈবল্য' (সর্বোচ্চ জ্ঞান) লাভ করেন। এরপর তিনি 'জিন' (বিজয়ী) এবং তাঁর অনুগামীরা 'জৈন' নামে পরিচিত হন।
* মৃত্যু: ৪৬৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ৭২ বছর বয়সে রাজগৃহের নিকট পাবা নামক স্থানে দেহত্যাগ করেন।
জৈনধর্মের মূলনীতি:
* ত্রিরত্ন (Triratna): জৈনধর্মের অনুগামীদের কৈবল্য লাভের জন্য এই তিনটি রত্ন অনুসরণ করতে হয়।
* সৎ বিশ্বাস (Samyak Darshan): জৈনধর্মের প্রতি সঠিক বিশ্বাস।
* সৎ জ্ঞান (Samyak Gyan): জৈন ধর্মগ্রন্থগুলির সঠিক জ্ঞান।
* সৎ আচরণ (Samyak Charitra): পঞ্চমহাব্রত ও অহিংসা পালন।
* পঞ্চমহাব্রত (Pancha Mahavrata):
* অহিংসা (Ahimsa): কোনো জীবকে হত্যা বা কষ্ট না দেওয়া (সর্বোচ্চ নীতি)।
* সত্য (Satya): সর্বদা সত্য কথা বলা।
* অস্তেয় (Asteya): চুরি না করা।
* ব্রহ্মচর্য (Brahmacharya): ইন্দ্রিয় সংযম বা ব্রহ্মচর্য পালন (এটি মহাবীর যুক্ত করেন)।
* অপরিগ্রহ (Aparigraha): কোনো সম্পত্তি জমা না করা বা আকাঙ্ক্ষা না করা।
* অত্যন্ত কঠোরতা: জৈনধর্ম কর্মফল থেকে মুক্তির জন্য অত্যন্ত কঠোর তপস্যা ও আত্ম-নির্যাতনের উপর জোর দেয়।
* অনীশ্বরবাদ: জৈনধর্ম ঈশ্বরকে বিশ্বজগতের স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করে না।
* আত্মা: প্রতিটা জীবের একটি আত্মা আছে, যা কর্মের ফল ভোগ করে।
জৈন সংগীতি (Jain Councils):
সংগীতি | সময় | স্থান | সভাপতি | প্রধান সিদ্ধান্ত/গুরুত্ব |
---|---|---|---|---|
প্রথম | ৩০০ খ্রি.পূ. | পাটলিপুত্র | স্থূলভদ্র | মগধে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণে জৈনরা ভদ্রবাহুর নেতৃত্বে দাক্ষিণাত্যে চলে যান। এরপর স্থূলভদ্রের নেতৃত্বে পাটলিপুত্রে জৈন ধর্মগ্রন্থ সংকলন করা হয়। এই সংগীতিতেই জৈনধর্ম শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর এই দুই শাখায় বিভক্ত হয়। |
দ্বিতীয় | ৫১২ খ্রিষ্টাব্দ | বল্লভী (গুজরাট) | দেবর্ষি ক্ষমাশ্রমণ | জৈন ধর্মগ্রন্থগুলি সুসংবদ্ধ করা হয় এবং লিখিত রূপ দেওয়া হয়। |
জৈন সম্প্রদায়ের বিভাজন:
খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মগধে এক বিশাল দুর্ভিক্ষ হয়। এই সময় ভদ্রবাহুর নেতৃত্বে একদল জৈন দক্ষিণ ভারতে (কর্ণাটক) চলে যান এবং কঠোর দিগম্বর মতবাদ অনুসরণ করেন। স্থূলভদ্রের নেতৃত্বে যারা মগধেই থেকে যান, তারা শ্বেতাম্বর মতবাদ অনুসরণ করেন।
* দিগম্বর (Digambara):
* বস্ত্রহীন জীবনযাপন করে ("আকাশই তাদের বস্ত্র")।
* কোনো প্রকার সম্পত্তি ধারণ করে না।
* মহাবীরকে বিবাহহীন ও কৈবল্য প্রাপ্তির পর খাবার গ্রহণ করেননি বলে বিশ্বাস করে।
* মহিলারা মোক্ষ লাভ করতে পারে না বলে মনে করে।
* ভদ্রবাহু এই শাখার প্রতিষ্ঠাতা।
* শ্বেতাম্বর (Svetambara):
* শ্বেতবস্ত্র পরিধান করে।
* খাদ্য ও অন্যান্য সম্পত্তির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে।
* মহাবীর বিবাহিত ছিলেন এবং কৈবল্য প্রাপ্তির পর খাবার গ্রহণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করে।
* মহিলারাও মোক্ষ লাভ করতে পারে বলে মনে করে।
* স্থূলভদ্র এই শাখার প্রতিষ্ঠাতা।
জৈনধর্মের বিস্তার ও পৃষ্ঠপোষকতা:
* প্রথম জীবনে মহাবীর কোশল, মগধ, বিদেহ, অঙ্গ প্রভৃতি রাজ্যে ধর্ম প্রচার করেন।
* চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তাঁর জীবনের শেষভাগে জৈনধর্ম গ্রহণ করেন এবং ভদ্রবাহুর সঙ্গে শ্রবণবেলগোলায় যান।
* কলিঙ্গের রাজা খারবেল ছিলেন একজন জৈনধর্মের পৃষ্ঠপোষক।
* দক্ষিণ ভারতের গঙ্গ, কদম্ব, চালুক্য এবং রাষ্ট্রকূট রাজারাও জৈনধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
* জৈনধর্ম মূলত গুজরাট, রাজস্থান, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে বেশি প্রসার লাভ করে।
জৈনধর্মের গুরুত্ব:
* অহিংসা: অহিংসার নীতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়, যা ভারতীয় সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।
* ভাষা: প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষার উন্নয়নে সাহায্য করে। পরে কন্নড় ভাষার বিকাশেও অবদান রাখে।
* সাহিত্য: বহু মূল্যবান জৈন সাহিত্য রচিত হয়।
### ৩. বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য:
সাদৃশ্য (Similarities):
* উৎপত্তি: উভয় ধর্মই বৈদিক ধর্মের জটিলতা ও যাগযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে গড়ে ওঠে।
* প্রতিষ্ঠাতা: উভয় ধর্মই ক্ষত্রিয় বংশের প্রতিষ্ঠাতা দ্বারা প্রচারিত হয়েছিল।
* অহিংসা: উভয় ধর্মই অহিংসা পরম ধর্ম - এই নীতিতে বিশ্বাসী।
* কর্মফল ও পুনর্জন্ম: উভয়ই কর্মফল ও পুনর্জন্মের ধারণায় বিশ্বাসী।
* জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা: উভয়ই জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা করে সামাজিক সমতার কথা বলে।
* মোক্ষ/নির্বাণ: উভয়ই জন্ম-মৃত্যুচক্র থেকে মুক্তি বা পরম শান্তি (মোক্ষ/নির্বাণ/কৈবল্য) লাভে বিশ্বাসী।
* আচরণবিধি: উভয় ধর্মেই সন্ন্যাস ও ত্যাগের উপর জোর দেওয়া হয়।
বৈসাদৃশ্য (Differences):
বৈশিষ্ট্য | বৌদ্ধধর্ম | জৈনধর্ম |
---|---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | গৌতম বুদ্ধ | বর্ধমান মহাবীর (২৪শ তীর্থংকর), ঋষভনাথ (১ম তীর্থংকর) |
মোক্ষের পথ | মধ্যপন্থা (অষ্টাঙ্গিক মার্গ), সহজ ও সরল পথ। | কঠোর তপস্যা, আত্মনিগ্রহ, চরম কৃচ্ছ্রসাধন। |
অহিংসা | সকল জীবের প্রতি অহিংসা, তবে চরম নয়। | অহিংসার চরম রূপ, কৃষিকাজ ও যুদ্ধের বিরোধিতা। |
ঈশ্বর | ঈশ্বর সম্পর্কে নীরব (অনীশ্বরবাদী)। | ঈশ্বরকে অস্বীকার করে, আত্মাকে স্বীকার করে। |
আত্মা | আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার (অনাত্মবাদী)। | প্রতিটা জীবের একটি আত্মা আছে, বিশ্বাস করে। |
সংঘ | ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের সংঘ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। | সন্ন্যাসী ও গৃহস্থ উভয়কেই ধর্ম পালনের সুযোগ দেয়। |
নারীর স্থান | নারীরা সংঘে প্রবেশ করতে পারত (মহাপ্রজাপতি গৌতমী)। | দিগম্বর মতে নারীদের মোক্ষ লাভ কঠিন। |
ভাষা | পালি ভাষা ব্যবহার করত। | প্রাকৃত ভাষা ব্যবহার করত। |
প্রসার | ভারতের বাইরেও ব্যাপক প্রসার লাভ করে (বিশ্বধর্ম)। | মূলত ভারতের মধ্যেই (বিশেষত পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারত) সীমাবদ্ধ থাকে। |
FAQ Questions Answers 100
1. বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা কে?
সিদ্ধার্থ গৌতম।
2. জৈনধর্মের চব্বিশতম তীর্থংকর কে?
মহাবীর।
3. বৌদ্ধধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থের নাম কী?
ত্রিপিটক।
4. জৈনধর্মের প্রধান দুটি শাখার নাম কী?
দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর।
5. বুদ্ধ কোথায় প্রথম ধর্মোপদেশ দেন?
সারনাথে।
6. মহাবীর কোথায় কৈবল্য জ্ঞান লাভ করেন?
জাম্ভিকগ্রামে।
7. বৌদ্ধধর্মের প্রধান চারটি সত্য কী নামে পরিচিত?
চতুরার্য সত্য।
8. জৈনধর্মের প্রধান তিনটি রত্ন কী কী?
সম্যক দর্শন, সম্যক জ্ঞান ও সম্যক চরিত্র।
9. বৌদ্ধধর্মে মোক্ষকে কী বলা হয়?
নির্বাণ।
10. জৈনধর্মে মোক্ষকে কী বলা হয়?
কৈবল্য।
11. গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
লুম্বিনীতে।
12. মহাবীর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
কুন্দগ্রামে।
13. বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংঘকে কী বলে?
সঙ্ঘ।
14. জৈন ধর্মের মূল নীতি কী?
অহিংসা।
15. বৌদ্ধধর্মে দুঃখ নিবারণের আটটি পথকে কী বলা হয়?
অষ্টাঙ্গিক মার্গ।
16. জৈনধর্মের পঞ্চমহাব্রত কী কী?
অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ।
17. বৌদ্ধ ধর্মানুসারে পঞ্চশীল কী?
হত্যা, চুরি, মিথ্যাচার, ব্যভিচার ও মাদকদ্রব্য বর্জন।
18. জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থংকর কে ছিলেন?
ঋষভনাথ।
19. বুদ্ধের মূল নাম কী ছিল?
সিদ্ধার্থ।
20. মহাবীরের প্রকৃত নাম কী ছিল?
বর্ধমান।
21. বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র প্রতীক কী?
ধর্মচক্র।
22. জৈন ধর্মের প্রতীক কী নামে পরিচিত?
জৈন ধর্মচক্র বা অহিংসার প্রতীক।
23. বৌদ্ধ ধর্ম কোন ধারণায় বিশ্বাস করে?
পুনর্জন্ম ও কর্মফল।
24. জৈন ধর্ম কোন ধারণায় বিশ্বাস করে?
আত্মা, কর্ম ও পুনর্জন্ম।
25. বুদ্ধত্ব লাভ গৌতম বুদ্ধের জীবনে কীসের প্রতীক?
পরম জ্ঞান।
26. জৈনধর্মে দিগম্বর শব্দের অর্থ কী?
দিগন্তই যার বস্ত্র।
27. বৌদ্ধধর্মে শ্বেতাম্বর শাখা কি বিদ্যমান?
না, এটি জৈনধর্মের শাখা।
28. বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের মধ্যে প্রধান মিল কী?
উভয়ই ঈশ্বরকে অস্বীকার করে।
29. কোন ধর্ম বেদ-বিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত?
বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম উভয়ই।
30. উভয় ধর্মেই কীসের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়?
আত্মসংযম ও ত্যাগ।
31. বুদ্ধের উপাধি 'তথাগত' বলতে কী বোঝায়?
যিনি সত্য উপলব্ধি করেছেন।
32. মহাবীরের উপাধি 'জিনা' বলতে কী বোঝায়?
ইন্দ্রিয় ও কামনা বিজয়ী।
33. বৌদ্ধধর্মের প্রধানত কোন দেশে প্রসার লাভ করে?
ভারত ছাড়াও পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
34. জৈনধর্মের অনুসারীরা প্রধানত কোথায় কেন্দ্রীভূত?
প্রধানত ভারতে।
35. গৌতম বুদ্ধ কোথায় নির্বাণ লাভ করেন?
কুশীনগরে।
36. মহাবীর কোথায় নির্বাণ লাভ করেন?
পাওয়াপুরী।
37. বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা কী রঙের পোশাক পরেন?
গেরুয়া।
38. দিগম্বর জৈন সন্ন্যাসীরা কী পোশাক পরেন?
কোনো পোশাক পরেন না।
39. শ্বেতাম্বর জৈন সন্ন্যাসীরা কী পোশাক পরেন?
শ্বেতবস্ত্র।
40. বৌদ্ধধর্মের পালি ভাষার ধর্মগ্রন্থ কোনটি?
ত্রিপিটক।
41. জৈনধর্মের বেশিরভাগ আদি ধর্মগ্রন্থ কোন ভাষায় রচিত?
প্রাকৃত ভাষায়।
42. বৌদ্ধধর্মের কোন শাখা বুদ্ধকে দেবতা রূপে পূজা করে?
মহাযান শাখা।
43. জৈন ধর্মানুসারে আত্মাকে কী বলা হয়?
জীব।
44. বৌদ্ধধর্মের মূল ভিত্তি কী?
দুঃখের কারণ ও তার নিবৃত্তি।
45. জৈনধর্মের মূল ভিত্তি কী?
অহিংসা পরম ধর্ম।
46. বৌদ্ধধর্মের সংঘ কী উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল?
ধর্ম প্রচার ও ভিক্ষুদের বাসস্থানের জন্য।
47. জৈনধর্মের তীর্থংকরগণ কেন পূজা পান?
মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে।
48. বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম উভয়ই কীসের বিরোধিতা করে?
জাতিভেদ প্রথা।
49. কোন শতকে এই দুটি ধর্মের উদ্ভব হয়?
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে।
50. এই দুটি ধর্মই কোন ভারতীয় দার্শনিক ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে?
শ্রমণ ঐতিহ্য।
51. বুদ্ধের পিতার নাম কী ছিল?
শুদ্ধোধন।
52. মহাবীরের পিতার নাম কী ছিল?
সিদ্ধার্থ।
53. বুদ্ধের মায়ের নাম কী ছিল?
মায়াদেবী।
54. মহাবীরের মায়ের নাম কী ছিল?
ত্রিশলা।
55. বৌদ্ধধর্মে ত্রিপিটকের প্রধান কয়টি ভাগ আছে?
তিনটি।
56. জৈনধর্মে আগম সূত্রগুলি কিসের উপর ভিত্তি করে রচিত?
মহাবীরের উপদেশ।
57. বৌদ্ধ ধর্মানুসারে আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের দ্বিতীয় অঙ্গের নাম কী?
সম্যক সংকল্প।
58. জৈনধর্মে অহিংসা নীতি কীসের উপর সর্বাধিক জোর দেয়?
জীবহত্যা ত্যাগ।
59. বৌদ্ধধর্মের সংঘে প্রথম প্রবেশাধিকার পান কে?
প্রজাপতি গৌতমী।
60. জৈনধর্মে তীর্থংকরদের জীবনকাহিনি কোন গ্রন্থে পাওয়া যায়?
কল্পসূত্র।
61. বৌদ্ধ দর্শনে অনিত্য বলতে কী বোঝায়?
সবকিছু ক্ষণস্থায়ী।
62. জৈন দর্শনে অনেকান্তবাদ কী ব্যাখ্যা করে?
বাস্তবের বহু-দিক।
63. বৌদ্ধধর্মে আত্মাকে কী নামে অস্বীকার করা হয়?
অনাত্মা।
64. জৈনধর্মের শ্বেতাম্বররা কীসে বিশ্বাসী?
বস্ত্র পরিধানে।
65. দিগম্বর জৈনরা তীর্থংকরদের মূর্তি কেমন রূপে পূজা করে?
নগ্ন রূপে।
66. বৌদ্ধ ধর্মানুসারে নির্বাণ লাভের অর্থ কী?
তৃষ্ণার নিবৃত্তি।
67. জৈন ধর্মানুসারে আত্মার শুদ্ধিকরণের চূড়ান্ত অবস্থা কী?
কৈবল্য।
68. বৌদ্ধধর্মে কার্মা কীসের উপর ভিত্তি করে ফল দেয়?
কর্মের অভিপ্রায়।
69. জৈনধর্মে কর্ম কীসের মাধ্যমে জমা হয়?
কার্য ও চিন্তার দ্বারা।
70. বৌদ্ধধর্মে ভিক্ষুণীদের জন্য কী ব্যবস্থা ছিল?
ভিক্ষুণী সংঘ।
71. জৈনধর্মে গৃহস্থদের জন্য কী কী ব্রত পালনের বিধান আছে?
অণু ব্রত।
72. বৌদ্ধধর্মের হীনযান শাখার অনুসারীরা বুদ্ধকে কীভাবে দেখেন?
একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে।
73. মহাযান বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কী?
বোধিসত্ত্ব ধারণা।
74. জৈন ধর্মের প্রধান উত্সবগুলির মধ্যে একটির নাম কী?
পর্যুষণ।
75. বৌদ্ধ ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্সবের নাম কী?
বুদ্ধ পূর্ণিমা।
76. গৌতম বুদ্ধকে শাক্যমুনি নামেও ডাকা হয় কেন?
শাক্যবংশে জন্ম বলে।
77. মহাবীরের জীবনকাল কোন সময়ের কাছাকাছি ছিল?
গৌতম বুদ্ধের।
78. বৌদ্ধধর্মে পঞ্চশীল ভঙ্গ করলে কীসের প্রয়োজন হয়?
প্রায়শ্চিত্ত।
79. জৈন ধর্মানুসারে আত্মসংযমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কী?
কায়োৎসর্গ।
80. বৌদ্ধধর্মের সংঘে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে কী বলা হয়?
শ্রমণের।
81. জৈনধর্মের দিগম্বর শাখার আচার-অনুষ্ঠান প্রধানত কোথায় পালিত হয়?
দক্ষিণ ভারতে।
82. শ্বেতাম্বর জৈনদের ধর্মীয় কেন্দ্রগুলি প্রধানত কোথায় অবস্থিত?
পশ্চিম ভারতে।
83. বৌদ্ধধর্মে অষ্টাঙ্গিক মার্গের প্রথম অঙ্গ কোনটি?
সম্যক দৃষ্টি।
84. জৈনধর্মে তীর্থংকর বলতে কী বোঝায়?
যারা মোক্ষপথ দেখান।
85. বুদ্ধের প্রথম পাঁচ শিষ্যকে কী বলা হয়?
পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষু।
86. জৈনধর্মে কোন ধারণা কর্মফলের পুনরাবৃত্তি বোঝায়?
সংসার।
87. বৌদ্ধধর্মে দুঃখের কারণ কী হিসাবে বর্ণিত হয়েছে?
তৃষ্ণা।
88. জৈনধর্মের শ্বেতাম্বররা কোন ভাষায় তাদের ধর্মগ্রন্থ লেখে?
প্রাকৃত ও সংস্কৃত।
89. বৌদ্ধধর্মের কোন গ্রন্থ বুদ্ধের পূর্বজন্মের কথা বলে?
জাতক কাহিনি।
90. জৈনদের পবিত্র স্থানকে কী বলা হয়?
তীর্থ।
91. বৌদ্ধধর্মের ভিক্ষুণী সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
বুদ্ধ স্বয়ং তাঁর সৎ মায়ের অনুরোধে।
92. জৈনধর্মের কোন তীর্থংকর নারী হিসেবেও বিবেচিত হন?
মল্লিনাথ।
93. বৌদ্ধধর্মে বুদ্ধের বাণী সংকলিত হয়েছে কোন গ্রন্থে?
সুত্তপিটক।
94. জৈন ধর্মানুসারে আত্মার মুক্তির জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ?
তপস্যা ও আত্মসংযম।
95. বৌদ্ধধর্মের কোন শাখা তিব্বতে প্রচলিত?
বজ্রযান।
96. জৈনদের একটি বিখ্যাত মন্দির শহর কোনটি?
পালিতানা।
97. বৌদ্ধ ধর্মানুসারে কোন অবস্থায় জ্ঞান লাভ করা যায়?
বোধি।
98. জৈনধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনা কী?
নবকার মন্ত্র।
99. বৌদ্ধধর্মে গৃহস্থদের জন্য কী পালনীয়?
পঞ্চশীল।
100. জৈনধর্মের মূল মন্ত্র কীসের উপর জোর দেয়?
অহিংসা।