দিল্লি সুলতানির পতন (Disintegration of the Sultanate)

ইতিহাস সিলেবাসের "দিল্লি সুলতানির পতন" (Disintegration of the Sultanate) অংশের জন্য বিস্তারিত ইতিহাস নোট নিচে দেওয়া হলো।

দিল্লি সুলতানি সাম্রাজ্য (১২০৬-১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ) প্রায় ৩২০ বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে শাসনকার্য পরিচালনা করেছিল। ইলতুৎমিশ, আলাউদ্দিন খলজি এবং মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো শক্তিশালী শাসকদের অধীনে এটি এক বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত হলেও, পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরু থেকে এর পতন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের কাছে ইব্রাহিম লোদির পরাজয়ের মাধ্যমে এর চূড়ান্ত অবসান ঘটে। সুলতানির পতন কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না, বরং এটি ছিল এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যা বহু অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণের ফলশ্রুতি।


পতনের কারণসমূহ:

দিল্লি সুলতানির পতনের কারণগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: অভ্যন্তরীণ কারণ এবং বাহ্যিক কারণ।


I. অভ্যন্তরীণ কারণসমূহ:

1. দুর্বল উত্তরাধিকারী ও সিংহাসন দ্বন্দ্ব:

    * তুঘলক বংশের দুর্বলতা: ফিরোজ শাহ তুঘলকের (১৩৫১-১৩৮৮ খ্রি.) মৃত্যুর পর তাঁর দুর্বল ও অদক্ষ উত্তরাধিকারীরা সাম্রাজ্যকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। তাঁর উত্তরসূরি গিয়াসউদ্দিন তুঘলক শাহ দ্বিতীয়, আবু বকর শাহ, নাসিরউদ্দিন মহম্মদ শাহ এবং শেষ শাসক নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ তুঘলকের (১৩৯৪-১৪১২ খ্রি.) আমলে সুলতানির ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়।

    * সৈয়দ ও লোদি বংশের সীমাবদ্ধতা: সৈয়দ (১৪১৪-১৪৫১ খ্রি.) ও লোদি (১৪৫১-১৫২৬ খ্রি.) বংশের শাসকরা প্রায়শই বিদ্রোহ দমন এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতেন। তাদের শাসনকালে সাম্রাজ্যের সীমা দিল্লী ও তার আশপাশের কিছু অঞ্চলে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। লোদি বংশের মধ্যে, ইব্রাহিম লোদির (১৫১৭-১৫২৬ খ্রি.) জেদি ও অনমনীয় নীতি আফগান আমিরদের অসন্তুষ্ট করে তোলে, যা সুলতানির পতনের অন্যতম কারণ ছিল।


2. শাসকদের ত্রুটিপূর্ণ নীতি:

    * মুহাম্মদ বিন তুঘলকের নীতি: মুহাম্মদ বিন তুঘলকের (১৩২৫-১৩৫১ খ্রি.) পরীক্ষামূলক ও দূরদর্শী নীতিগুলি, যেমন - দোয়াবে কর বৃদ্ধি, রাজধানী দেবগিরিতে (দৌলতাবাদ) স্থানান্তর, তামার প্রতীক মুদ্রা প্রচলন, খোরাসান ও কারাচিল অভিযান – অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছিল। এই নীতিগুলি জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং রাজকোষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে সাম্রাজ্যের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

    * ফিরোজ শাহ তুঘলকের নীতি: ফিরোজ শাহ তুঘলক যদিও জনহিতকর কাজে সুনাম অর্জন করেন, তবে তাঁর কিছু নীতি সুলতানির দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করেছিল। সামরিক বাহিনীতে বংশানুক্রমিক নিয়োগ প্রবর্তন, জাগির (ভূসম্পত্তি) প্রথার পুনরুজ্জীবন, এবং অগণিত দাস (দাসী) নিয়োগ (যার জন্য একটি পৃথক বিভাগ, *দিওয়ান-ই-বন্দাগান* তৈরি হয়েছিল) সাম্রাজ্যের সামরিক ও আর্থিক কাঠামোকে দুর্বল করে দেয়। তাঁর সংকীর্ণ ধর্মীয় নীতি (যেমন হিন্দুদের উপর জিজিয়া করের পুনঃপ্রবর্তন ও বাড়ানো) অমুসলিমদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।


3. শাসনের বিশালতা ও কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণের অভাব:

    * আলাউদ্দিন খলজি ও মুহাম্মদ বিন তুঘলকের সময়ে সুলতানি সাম্রাজ্য ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। এত বিশাল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশকে দিল্লী থেকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন ছিল, বিশেষত দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে। দূরবর্তী প্রদেশগুলি প্রায়শই স্বায়ত্তশাসন দাবি করত বা বিদ্রোহ করত।


4. আফগান অভিজাতদের ক্ষমতা ও উপজাতীয় প্রকৃতি:

    * লোদি বংশ ছিল আফগান, এবং তাদের শাসনকালে আফগান সর্দারদের প্রভাব ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। আফগান সর্দাররা নিজেদেরকে সুলতানের সহকর্মী মনে করত, প্রজা নয়। তাদের মধ্যে উপজাতীয় আনুগত্য (Tribal loyalty) ছিল প্রবল, যা কেন্দ্রীয় ক্ষমতার প্রতি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে। ইব্রাহিম লোদির চেষ্টা ছিল আফগান আমিরদের ক্ষমতা হ্রাস করে কেন্দ্রীয় শক্তিকে শক্তিশালী করা, কিন্তু এই প্রচেষ্টা আমিরদের বিদ্রোহের কারণ হয় এবং শেষ পর্যন্ত সুলতানির পতন ত্বরান্বিত করে।


5. অর্থনৈতিক সংকট:

    * যুদ্ধ, বিদ্রোহ দমন, এবং রাজকীয় বিলাসিতা রাজকোষে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। মুহম্মদ বিন তুঘলকের নীতিগুলি অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তোলে। ফিরোজ শাহের সময় কৃষির উন্নতি হলেও, তার পরের শাসকদের আমলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়নি। কৃষিজ উৎপাদন হ্রাস এবং বাণিজ্য সংকোচনের ফলে সুলতানির আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে যায়।


6. সামরিক দুর্বলতা:

    * ফিরোজ শাহের সময় থেকে সামরিক বাহিনীতে যোগ্যতার পরিবর্তে বংশানুক্রমিক নিয়োগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। দুর্নীতি ও অদক্ষতা সামরিক শক্তিকে দুর্বল করে তোলে। নতুন সামরিক কৌশল ও অস্ত্রের ব্যবহারে অনীহা দিল্লি সুলতানিকে ক্রমশ দুর্বল করে তোলে, যা পানিপথের যুদ্ধে বাবরের আধুনিক কামান ও গোলন্দাজ বাহিনীর সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।


7. জনগণের অসন্তোষ:

    * সুলতানদের কঠোর শাসন, উচ্চ করের বোঝা, এবং মাঝে মাঝে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা (যদিও সব সুলতানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করে। এই অসন্তোষ সাম্রাজ্যের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এবং বিদ্রোহের উর্বর ভূমি তৈরি করে।


II. বাহ্যিক কারণসমূহ:

1. আঞ্চলিক শক্তির উত্থান:

    * দিল্লি সুলতানির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভারতে একাধিক শক্তিশালী আঞ্চলিক রাজ্যের উত্থান ঘটে। এই রাজ্যগুলি নিজেদেরকে দিল্লী থেকে স্বাধীন ঘোষণা করে এবং সুলতানিকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকে।

        * দক্ষিণ ভারত: বিজয়নগর সাম্রাজ্য (১৩৩৬ খ্রি.) ও বাহমনি সাম্রাজ্য (১৩৪৭ খ্রি.) দক্ষিণ ভারতে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

        * পূর্ব ভারত: বাংলা ইলিয়াস শাহী ও হুসেন শাহী বংশের অধীনে স্বাধীন হয়ে ওঠে।

        * পশ্চিম ভারত: গুজরাট, মালব ও মেওয়ার স্বাধীন রাজ্য হিসেবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

        * উত্তর ভারত: জৌনপুর (শার্কি বংশ) এবং রাজপুত রাজ্যগুলিও নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

    * এই রাজ্যগুলির উত্থান সুলতানির আয়তন ও প্রভাবকে সীমাবদ্ধ করে দেয়।


2. তৈমুরের আক্রমণ (১৩৯৮-১৩৯৯ খ্রি.):

    * তুঘলক বংশের শেষ দুর্বল সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের রাজত্বকালে তৈমুর লঙের ভারত আক্রমণ সুলতানির কফিনের শেষ পেরেক ঠুকে দেয়। তৈমুরের সেনারা দিল্লী লুণ্ঠন করে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এই আক্রমণের ফলে সুলতানির ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি পুরোপুরি ধুলিসাৎ হয়ে যায়। সাম্রাজ্য কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে এবং তৈমুর দিল্লী থেকে ফিরে যাওয়ার পর ভারতে প্রায় ৫০ বছরের রাজনৈতিক শূন্যতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।


3. বাবরের আক্রমণ (১৫২৬ খ্রি.):

    * দিল্লি সুলতানির পতনের চূড়ান্ত পর্যায়টি আসে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে বাবরের আক্রমণে। পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী, উন্নত কামান ও গোলন্দাজ বাহিনী, এবং সামরিক কৌশল (তুলুঘমা পদ্ধতি) ইব্রাহিম লোদির বিশাল কিন্তু অপ্রশিক্ষিত ও পুরোনো ধাঁচের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতে দিল্লি সুলতানির অবসান ঘটে এবং মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয়।


পতনের পর্যায়ক্রমিক বিবরণ:

* তুঘলক বংশের শেষ পর্যায়: ফিরোজ শাহের পর থেকে তুঘলক বংশের দুর্বল শাসকরা তৈমুরের আক্রমণের পথ খুলে দেন। তৈমুরের আক্রমণের পর দিল্লি একটি নামমাত্র রাজধানীতে পরিণত হয়।

* সৈয়দ বংশ (১৪১৪-১৪৫১): তৈমুরের আক্রমণের পর খিজির খান (তৈমুরের প্রতিনিধিরূপে) সৈয়দ বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। এই বংশের শাসকরা ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল এবং তাদের শাসনকাল দিল্লী ও তার আশপাশের কিছু অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তারা প্রায়শই স্থানীয় সর্দারদের কর আদায় করতে ব্যর্থ হতেন।

* লোদি বংশ (১৪৫১-১৫২৬): সৈয়দ বংশের পতনের পর বহলুল লোদি লোদি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন প্রথম আফগান সুলতান। সিকান্দার লোদি (১৪৮৯-১৫১৭) কিছু সময়ের জন্য সুলতানির ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেন এবং কৃষি ও বাণিজ্যের উন্নতি ঘটান। তবে তার উত্তরসূরি ইব্রাহিম লোদির (১৫১৭-১৫২৬) জেদি ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বভাব আফগান আমিরদের (যেমন দৌলত খান লোদি) অসন্তুষ্ট করে তোলে। এই আমিররাই বাবরের ভারত আক্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যা সুলতানির পতনের কারণ হয়।


পতনের তাৎপর্য ও ফলাফল:

* রাজনৈতিক বিভাজন: দিল্লি সুলতানির পতনের ফলে ভারতে এক দীর্ঘ রাজনৈতিক শূন্যতা ও বিভাজন দেখা দেয়। পরবর্তী প্রায় এক দশক ধরে কোনো কেন্দ্রীয় শক্তিশালী শাসন ছিল না, যা আঞ্চলিক রাজ্যগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

* আঞ্চলিক সংস্কৃতির বিকাশ: যদিও এটি কেন্দ্রীয়ভাবে সাম্রাজ্যের পতন ছিল, তবে এর ফলে আঞ্চলিক রাজ্যগুলিতে (যেমন বাংলা, গুজরাট, মালব, বিজয়নগর, বাহমনি) নিজস্ব শিল্প, সাহিত্য, স্থাপত্য এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে।

* মুঘল সাম্রাজ্যের পথ প্রশস্ত: দিল্লি সুলতানির পতন ভারতে এক নতুন সাম্রাজ্য, মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের পথ খুলে দেয়। বাবর একটি শক্তিশালী ও সুসংহত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রায় দুশো বছর ধরে ভারত শাসন করে।

* অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব: দীর্ঘমেয়াদী অস্থিতিশীলতা এবং যুদ্ধবিগ্রহ ভারতের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে, আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলির বিকাশের সাথে সাথে কিছু অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে।


উপসংহার:

দিল্লি সুলতানির পতন ছিল একটি জটিল ও বহুস্তরীয় প্রক্রিয়া। দুর্বল শাসন, অদূরদর্শী নীতি, আর্থিক সংকট, সামরিক দুর্বলতা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের পাশাপাশি তৈমুর ও বাবরের মতো বিদেশী শক্তির আক্রমণ এই পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। এই পতন মধ্যযুগীয় ভারতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক নতুন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ধারার উন্মোচন করে।

FAQ Questions Answers 100 

1. দিল্লি সুলতানির পতন কখন শুরু হয়?

চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে এর পতন শুরু হয়।


2. দিল্লি সুলতানির শেষ রাজবংশ কোনটি ছিল?

লোদি রাজবংশ ছিল শেষ রাজবংশ।


3. কোন যুদ্ধের মাধ্যমে দিল্লি সুলতানির পতন ঘটে?

১৫২৬ খ্রিস্টাব্দের পানিপথের প্রথম যুদ্ধের মাধ্যমে।


4. পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?

ইব্রাহিম লোদি ও বাবরের মধ্যে।


5. দিল্লি সুলতানির পতন ঘটিয়ে কে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?

বাবর।


6. দিল্লি সুলতানির পতনের একটি প্রধান অভ্যন্তরীণ কারণ কী ছিল?

দুর্বল উত্তরাধিকারী ও সিংহাসন নিয়ে দ্বন্দ্ব।


7. কোন বিদেশি আক্রমণের ফলে দিল্লি সুলতানি দুর্বল হয়ে পড়েছিল?

১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে তৈমুরের আক্রমণ।


8. তৈমুরের আক্রমণের পর দিল্লি সুলতানির অবস্থা কেমন ছিল?

সুলতানি মারাত্মকভাবে দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।


9. লোদি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

বহলুল লোদি।


10. ইব্রাহিম লোদি কোন রাজবংশের শাসক ছিলেন?

লোদি রাজবংশের।


11. আফগান সর্দারদের মধ্যে অনৈক্য কীসের কারণ হয়েছিল?

দিল্লি সুলতানির দুর্বলতার।


12. কেন আঞ্চলিক শক্তিগুলি স্বাধীনতা ঘোষণা করছিল?

কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতার কারণে।


13. দিল্লি সুলতানির সামরিক শক্তি কি শক্তিশালী ছিল পতনের সময়?

না, সামরিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।


14. মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কোন নীতি সুলতানির পতনে সাহায্য করেছিল?

তাঁর বিতর্কিত ও ব্যর্থ নীতিগুলি।


15. ফিরোজ শাহ তুঘলকের পর কারা ক্ষমতায় আসে?

দুর্বল তুঘলক ও সৈয়দ বংশের শাসকরা।


16. দিল্লি সুলতানির আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল পতনের দিকে?

অর্থনৈতিক সংকট ও রাজস্বের অভাব দেখা দিয়েছিল।


17. যুদ্ধে বারুদের ব্যবহার কে ভারতে প্রথম নিয়ে আসে?

বাবর।


18. পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদির পরাজয়ের প্রধান কারণ কী ছিল?

বাবরের উন্নত সামরিক কৌশল ও কামান ব্যবহার।


19. দিল্লি সুলতানি শেষ পর্যন্ত কত খ্রিস্টাব্দে বিলুপ্ত হয়?

১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে।


20. দিল্লি সুলতানি শাসনে জনগণের সমর্থন কেমন ছিল শেষ দিকে?

জনগণের সমর্থন হ্রাস পেয়েছিল।


21. আফগান সর্দারদের বিদ্রোহের ফলে কী হয়েছিল?

সুলতানির প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছিল।


22. দিল্লি সুলতানির পতনের পিছনে কোন রাজবংশের শেষ পর্বের ভূমিকা ছিল?

তুঘলক, সৈয়দ ও লোদি রাজবংশের।


23. কেন্দ্রীয় প্রশাসনের দুর্বলতার একটি ফল কী ছিল?

প্রাদেশিক বিদ্রোহ বৃদ্ধি।


24. দিল্লি সুলতানির পতনের সময় দাক্ষিণাত্যের দুটি স্বাধীন রাজ্যের নাম কী ছিল?

বিজয়নগর ও বাহমনী রাজ্য।


25. তৈমুরের আক্রমণের সময় দিল্লির সুলতান কে ছিলেন?

নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহ তুঘলক।


26. দিল্লি সুলতানির পতনের সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কারণ কী ছিল?

শাসক ও শাসিতের মধ্যে বিচ্ছেদ।


27. লোদি রাজবংশের অন্যতম দুর্বল শাসক কে ছিলেন?

ইব্রাহিম লোদি।


28. মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান কীসের ইঙ্গিত দেয়?

দিল্লি সুলতানির সমাপ্তি।


29. দিল্লি সুলতানির পতনকে কি একটি আকস্মিক ঘটনা বলা যায়?

না, এটি ছিল বহু বছর ধরে চলা একটি প্রক্রিয়া।


30. দিল্লি সুলতানির পতনের সময় পাঞ্জাবের গভর্নর কে ছিলেন যিনি বাবরকে আমন্ত্রণ জানান?

দৌলত খান লোদি।


31. লোদি সাম্রাজ্যের শেষ দিকের সামরিক অবস্থা কেমন ছিল?

অসংগঠিত ও দুর্বল।


32. আফগান অভিজাতদের মধ্যে কীসের অভাব ছিল?

ঐক্য ও সহযোগিতা।


33. দিল্লি সুলতানির পতন কি নতুন সাম্রাজ্যের পথ প্রশস্ত করেছিল?

হ্যাঁ, মুঘল সাম্রাজ্যের জন্য।


34. তৈমুরের আক্রমণ দিল্লিকে কী অবস্থায় ফেলেছিল?

ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল।


35. সৈয়দ রাজবংশ কী কারণে দুর্বল ছিল?

তাদের নিয়ন্ত্রণ শুধু দিল্লির আশেপাশেই সীমাবদ্ধ ছিল।


36. দিল্লি সুলতানির পতনের পিছনে অভিজাতদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা কি ভূমিকা রেখেছিল?

হ্যাঁ, এটি একটি কারণ ছিল।


37. দিল্লি সুলতানির পতন যুগে নতুন স্বাধীন রাজ্য গঠনের কিছু উদাহরণ দিন।

জৌনপুর, মালব, গুজরাট।


38. ইব্রাহিম লোদির অহংকারী আচরণ কীসের কারণ হয়েছিল?

নিজের অভিজাতদের বিদ্রোহের।


39. মুঘল আক্রমণের সময় লোদি সৈন্যদের মনোবল কেমন ছিল?

নিম্ন ও বিভাজিত।


40. আলাউদ্দিন খলজির শক্তিশালী শাসনের পর কী ঘটেছিল?

পরবর্তী শাসকদের অধীনে সুলতানি দুর্বল হতে শুরু করে।


41. দিল্লি সুলতানির শেষ পর্যায়কে কী নামে পরিচিত করা হয়?

সুলতানি আমলের শেষ যুগ।


42. লোদি সুলতানদের শাসনামলে বিদ্রোহ কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছিল?

পাঞ্জাব, রাজস্থান ও পূর্ব ভারতের কিছু অংশে।


43. আর্টিলারি (কামান) ব্যবহার না করা ইব্রাহিম লোদির জন্য কীসের কারণ হয়?

যুদ্ধক্ষেত্রে দুর্বলতার।


44. দিল্লি সুলতানির অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা কি মুঘলদের কাজ সহজ করে দিয়েছিল?

হ্যাঁ, অনেকটাই।


45. দিল্লি সুলতানির শেষ শাসকরা কি যোগ্য ছিলেন?

অধিকাংশই অযোগ্য বা দুর্বল ছিলেন।


46. বাহির থেকে আক্রমণের মুখে দিল্লি সুলতানি কেন প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়?

কেন্দ্রীয় দুর্বলতা ও অসংগঠিত সেনাবাহিনীর জন্য।


47. দিল্লি সুলতানির পতন কি ভারতের রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল?

হ্যাঁ, এটি একটি নতুন যুগ শুরু করে।


48. লোদিদের পতন কাদের দ্বারা ত্বরান্বিত হয়েছিল?

মুঘল আক্রমণকারীদের দ্বারা।


49. সুলতানি শাসনের শেষ দিকে বিদ্রোহের সংখ্যা কি বেড়েছিল?

হ্যাঁ, অনেক বেড়েছিল।


50. দিল্লি সুলতানি শাসনের অবসান ভারতের ইতিহাসে কী নামে পরিচিত?

মধ্যযুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।


51. দিল্লি সুলতানির পতনে তুঘলক রাজবংশের ভূমিকা কী ছিল?

তুঘলক রাজবংশের শেষের দিকে প্রশাসনিক দুর্বলতা ও অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ শুরু হয়।


52. সৈয়দ রাজবংশের শাসনকাল কি দিল্লি সুলতানিকে শক্তিশালী করেছিল?

না, সৈয়দ রাজবংশের শাসনকাল সুলতানির দুর্বলতা আরও বাড়িয়েছিল।


53. লোদি রাজবংশের সময় আঞ্চলিক বিদ্রোহের একটি কারণ কী ছিল?

আফগান অভিজাতদের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও সুলতানের প্রতি আনুগত্যের অভাব।


54. পানিপথের প্রথম যুদ্ধের সময় বাবরের প্রধান সামরিক সুবিধা কী ছিল?

সুসংগঠিত অশ্বারোহী বাহিনী এবং কামান ব্যবহার।


55. তৈমুরের আক্রমণের পর দিল্লি শহরের অবস্থা কেমন ছিল?

শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল এবং এর জনসংখ্যা কমে গিয়েছিল।


56. মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তরের নীতি কী প্রভাব ফেলেছিল?

এটি সাম্রাজ্যের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করেছিল এবং বিশৃঙ্খলা বাড়িয়েছিল।


57. ফিরোজ শাহ তুঘলকের উত্তরাধিকারীরা কেন সুলতানিকে ধরে রাখতে পারেননি?

তাদের অদক্ষতা, দুর্বল নেতৃত্ব এবং অভিজাতদের মধ্যে বিভাজন।


58. দিল্লি সুলতানির পতনের যুগে অর্থনীতিতে কী ধরনের সমস্যা দেখা যায়?

কৃষি উৎপাদন হ্রাস, বাণিজ্য পথের নিরাপত্তাহীনতা এবং রাজস্ব ঘাটতি।


59. লোদি সুলতানদের শাসনে আফগান সর্দারদের প্রভাব কেমন ছিল?

তারা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং স্বাধীনচেতা ছিল, যা কেন্দ্রীয় ক্ষমতাকে দুর্বল করে।


60. পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের কৌশলগত পরিকল্পনা কী ছিল?

তুলুঘমা কৌশল এবং আর্টিলারির কার্যকর ব্যবহার।


61. তৈমুরের আক্রমণের আগে দিল্লি সুলতানির রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল?

অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ এবং আঞ্চলিক শাসকদের স্বাধীনতার প্রবণতা বাড়ছিল।


62. সুলতানি শাসনের শেষ দিকে জনগণের অসন্তোষের কারণ কী ছিল?

উচ্চ কর, বিচারহীনতা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অত্যাচার।


63. ইব্রাহিম লোদির কোন শাসন বৈশিষ্ট্য অভিজাতদের বিরক্তির কারণ হয়েছিল?

তার একরোখা ও স্বৈরাচারী শাসন পদ্ধতি।


64. দিল্লি সুলতানির দুর্বলতা কি বাহমনি ও বিজয়নগর সাম্রাজ্যের উত্থানে সাহায্য করেছিল?

হ্যাঁ, সুলতানির দুর্বলতার সুযোগে তারা স্বাধীন রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।


65. পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদির বাহিনীর রণকৌশল কেমন ছিল?

তাদের যুদ্ধ কৌশল পুরনো ধাঁচের ছিল এবং আধুনিক অস্ত্রের অভাব ছিল।


66. তৈমুরের আক্রমণের তাৎক্ষণিক ফল কী ছিল?

দিল্লির ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, লুঠতরাজ এবং সুলতানির রাজনৈতিক শূন্যতা।


67. সৈয়দ রাজবংশের কোন সুলতান দিল্লির ক্ষমতা সীমিত রাখতে বাধ্য হন?

খিজির খাঁ।


68. লোদি রাজবংশের ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা কি সফল হয়েছিল?

না, তারা আঞ্চলিক শক্তি ও আফগান সর্দারদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।


69. দিল্লি সুলতানির পতনের পিছনে দাক্ষিণাত্যের শক্তিগুলির ভূমিকা কী ছিল?

তারা নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করে দিল্লি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।


70. সুলতানি শাসনের শেষ দিকে প্রশাসনিক অব্যবস্থা কীসের জন্ম দিয়েছিল?

এটি আঞ্চলিক ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছিল।


71. পানিপথের প্রথম যুদ্ধের পর ভারতে কোন নতুন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?

মুঘল সাম্রাজ্য।


72. তৈমুরের আক্রমণের পর দিল্লির শাসক হিসেবে কে সৈয়দ রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন?

খিজির খাঁ।


73. লোদি রাজবংশের শাসনকালকে কি দিল্লি সুলতানির চূড়ান্ত অধ্যায় বলা যায়?

হ্যাঁ, এটি দিল্লি সুলতানির শেষ উল্লেখযোগ্য রাজবংশ ছিল।


74. দিল্লি সুলতানির পতনের সময় প্রধান আফগান প্রতিদ্বন্দ্বিতা কী ছিল?

লোদি সুলতান এবং অন্যান্য আফগান সর্দারদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব।


75. তৈমুরের আক্রমণে সুলতানি সেনাবাহিনীর কী অবস্থা হয়েছিল?

এটি প্রায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।


76. লোদিদের পতনের পর উত্তর ভারতে প্রধান ক্ষমতা কারা দখল করে?

মুঘলরা।


77. সৈয়দ রাজবংশের শাসনে দিল্লির নিয়ন্ত্রণ কেন সীমিত ছিল?

তাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং আঞ্চলিক নেতাদের উত্থানের কারণে।


78. দিল্লি সুলতানির পতনে সুলতানদের ব্যক্তিগত চরিত্রের প্রভাব কেমন ছিল?

কিছু সুলতানের অযোগ্যতা ও দূরদর্শিতার অভাব পতনে ভূমিকা রেখেছিল।


79. পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবর কোন শক্তিশালী সামরিক কৌশল ব্যবহার করেন?

উসমানীয় কামান ব্যবহার ও তুলুঘমা কৌশল।


80. তৈমুরের আক্রমণ দিল্লি থেকে কী মূল্যবান সম্পদ নিয়ে গিয়েছিল?

প্রচুর ধনসম্পদ, কারিগর ও শিল্পী।


81. লোদিদের শাসনামলে বিদ্রোহ দমন করতে তারা কেন ব্যর্থ হয়েছিল?

তাদের দুর্বল সামরিক সংগঠন ও আফগান সর্দারদের অসহযোগিতা।


82. দিল্লি সুলতানির পতনে উলেমাদের ভূমিকা কী ছিল?

কিছু ক্ষেত্রে তারা সুলতানদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের প্রভাব বাড়ায়।


83. পানিপথের প্রথম যুদ্ধের পর ইব্রাহিম লোদির কী পরিণতি হয়?

তিনি যুদ্ধে নিহত হন।


84. লোদি সাম্রাজ্যের পতনে সাম্রাজ্যের বিশালতা কি একটি কারণ ছিল?

হ্যাঁ, এত বড় সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য কঠিন ছিল।


85. তৈমুরের আক্রমণের ফলে দিল্লি থেকে বাংলার দূরত্ব কি বেড়ে গিয়েছিল?

হ্যাঁ, বাংলার সাথে দিল্লির সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে প্রায় স্বাধীন হয়ে গিয়েছিল।


86. দিল্লি সুলতানির পতনে আঞ্চলিক রাজ্যগুলির স্বাধীনতা ঘোষণা কেন ত্বরান্বিত হয়েছিল?

কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে।


87. লোদি রাজবংশের শেষ সুলতান কে ছিলেন?

ইব্রাহিম লোদি।


88. পানিপথের প্রথম যুদ্ধের পর ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে কী পরিবর্তন আসে?

দিল্লি সালতানাতের সমাপ্তি এবং মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা।


89. তৈমুরের আক্রমণ-পরবর্তী রাজনৈতিক শূন্যতা কে পূরণ করেন?

সৈয়দ রাজবংশের খিজির খাঁ।


90. দিল্লি সুলতানির পতনের সময় সীমান্ত নিরাপত্তা কেমন ছিল?

অত্যন্ত দুর্বল ছিল, যা বৈদেশিক আক্রমণের পথ খুলে দেয়।


91. লোদিদের শাসনকালে কৃষি উৎপাদন কি হ্রাস পেয়েছিল?

হ্যাঁ, কৃষি উৎপাদন ও বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছিল।


92. পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের কামান কি লোদির সৈন্যদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিল?

হ্যাঁ, কামানের প্রচণ্ড শব্দ ও ধোঁয়া লোদিদের হাতি ও সৈন্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।


93. তৈমুরের আক্রমণের ফলে দিল্লির স্থাপত্য ও শিল্পকলার কী ক্ষতি হয়েছিল?

ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ফলে বহু স্থাপত্য ও শিল্পকর্ম নষ্ট হয়ে যায়।


94. দিল্লি সুলতানির পতনে উত্তরাধিকার আইনের অভাবের প্রভাব কী ছিল?

প্রায়শই উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব ও গৃহযুদ্ধ লেগে থাকত।


95. লোদি রাজবংশের সময় সুলতানের সাথে অভিজাতদের সম্পর্ক কেমন ছিল?

প্রায়শই অবিশ্বাস ও সংঘাতপূর্ণ ছিল।


96. পানিপথের প্রথম যুদ্ধে মুঘলদের জয়লাভের একটি কারণ কী?

তাদের সুসংগঠিত এবং প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী।


97. তৈমুরের আক্রমণের পর দিল্লি কতকাল একটি প্রধান রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে টিকে থাকতে পারেনি?

প্রায় ৫০ বছর।


98. সুলতানি পতনে দরবারের ক্ষমতা সংগ্রাম কতটা দায়ী ছিল?

দরবারের আমির-উমরাহদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই কেন্দ্রীয় শক্তিকে দুর্বল করে দেয়।


99. লোদি রাজবংশের শাসনের শেষ দিকে অর্থনৈতিক মন্দার একটি কারণ কী ছিল?

ক্রমাগত যুদ্ধ এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থা।


100. পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কি কেবলমাত্র সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল?

না, যুদ্ধ কৌশল, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং অস্ত্রের আধুনিকতাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।