গুপ্ত সাম্রাজ্য (আনু. ৩২০ খ্রি. – ৫৫০ খ্রি.) প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়কালকে ভারতের 'সুবর্ণ যুগ' (Golden Age) হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়, কারণ এই যুগে শিল্পকলা, স্থাপত্য, সাহিত্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রশাসনের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছিল।
এ বিষয়ে ২০১ টি প্রশ্ন উত্তর
১. গুপ্ত সাম্রাজ্যের উৎস ও প্রাথমিক শাসকগণ:
* উৎস: কুষাণ সাম্রাজ্যের পতনের পর উত্তর ভারতে বহু ছোট ছোট রাজ্যের উত্থান ঘটে। গুপ্তরা প্রাথমিকভাবে মগধের (আধুনিক বিহার) শ্রীগুপ্তের নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
* শ্রীগুপ্ত (আনু. ২৪০-২৮০ খ্রি.): ইনি ছিলেন গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা। মুদ্রায় 'মহারাজ' উপাধি পাওয়া যায়।
* ঘটৎকচগুপ্ত (আনু. ২৮০-৩১৯ খ্রি.): শ্রীগুপ্তের পুত্র ও উত্তরাধিকারী। তিনিও 'মহারাজ' উপাধি ধারণ করেন।
২. প্রধান শাসকগণ ও তাঁদের অবদান:
* প্রথম চন্দ্রগুপ্ত (Chandragupta I) (আনু. ৩১৯-৩৩৫ খ্রি.):
* ইনিই গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
* উপাধি: 'মহারাজাধিরাজ'।
* লিচ্ছবি রাজকন্যা কুমারদেবীকে বিবাহ করে নিজের রাজনৈতিক প্রভাব ও শক্তি বৃদ্ধি করেন। এই বিবাহ গুপ্ত সাম্রাজ্যের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
* ৩২০ খ্রিস্টাব্দে 'গুপ্তাব্দ' (Gupta Era) বা 'গুপ্ত সংবত' চালু করেন।
* সমুদ্রগুপ্ত (Samudragupta) (আনু. ৩৩৫-৩৭৫ খ্রি.):
* গুপ্ত সম্রাটদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। 'ভারতের নেপোলিয়ন' (ভারতের ইতিহাসে একমাত্র সম্রাট যিনি সারা ভারতে নিজের বিজয় রথ পরিচালনা করেছিলেন)। এই উপাধি দিয়েছেন ঐতিহাসিক ভি.এ. স্মিথ।
* বিজয় অভিযান:
* আর্যাবর্ত অভিযান: উত্তর ভারতের ৯ জন রাজাকে পরাজিত করেন।
* দক্ষিণাপথ অভিযান: দক্ষিণ ভারতের ১২ জন রাজাকে পরাজিত করেন, কিন্তু তাদের রাজ্যগুলি নিজের সাম্রাজ্যভুক্ত না করে কর আদায় করে ছেড়ে দেন। এই নীতিকে ঐতিহাসিকরা 'গ্রহন-মোক্ষ-অনুগ্রহ' নীতি বলেছেন।
* আটবিক রাজ্য জয়: মধ্য ভারতের অরণ্য অঞ্চলের রাজ্যগুলি জয় করেন।
* সীমান্ত রাজ্য ও বৈদেশিক রাজ্য: সীমান্তবর্তী রাজ্য এবং শক ও কুষাণদের মতো বৈদেশিক শক্তিরাও তার বশ্যতা স্বীকার করে।
* এলাহাবাদ প্রশস্তি (Prayag Prashasti): সভাকবি হরিষেণ কর্তৃক রচিত এই প্রশস্তিতে সমুদ্রগুপ্তের বিজয় অভিযান ও গুণাবলী বর্ণিত আছে। এটি চম্পু কাব্য রীতিতে লেখা।
* ধর্মীয় উদারতা: তিনি নিজে বিষ্ণুর উপাসক হলেও অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল ছিলেন।
* গুণাবলী: তিনি একজন মহান যোদ্ধা, কবি, সঙ্গীতজ্ঞ (মুদ্রায় বীণা হাতে ছবি), বিদ্যোৎসাহী এবং ধর্মপ্রাণ শাসক ছিলেন। 'কবিরাজ' উপাধি লাভ করেন।
* অশ্বমেধ যজ্ঞ: সাম্রাজ্য বিস্তারের পর অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন এবং 'অপ্রতিরথ', 'ব্যাঘ্রপরাক্রম', 'সর্বরাজোচ্ছেত্তা' উপাধি গ্রহণ করেন।
* দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য (Chandragupta II Vikramaditya) (আনু. ৩৭৫-৪১৫ খ্রি.):
* সমুদ্রগুপ্তের পুত্র ও উত্তরাধিকারী।
* শক বিজয়: পশ্চিম ভারতের শেষ শক শাসক তৃতীয় রুদ্রসিংহকে পরাজিত করে 'শকারি' (শকদের শত্রু) এবং 'বিক্রমাদিত্য' উপাধি ধারণ করেন। এর ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পশ্চিম উপকূলের বন্দরগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আসে, যা বাণিজ্যের প্রসারে সহায়ক হয়।
* বৈবাহিক সম্পর্ক: দাক্ষিণাত্যের বাকাটক রাজবংশের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন (কন্যা প্রভাবতীগুপ্তার বিবাহ), যা তার রাজনৈতিক ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করে।
* ফাহিয়েন (Fa Hien): তার রাজত্বকালে চীনা বৌদ্ধ পরিব্রাজক ফাহিয়েন ভারতে আসেন (আনু. ৪০৫-৪১১ খ্রি.)। তিনি ভারতের সমাজ, ধর্ম, এবং প্রশাসনের উপর মূল্যবান বিবরণ রেখে যান।
* নবরত্ন (Nine Jewels): তার রাজসভা নয় জন বিদ্বান পণ্ডিতের দ্বারা শোভিত ছিল বলে মনে করা হয়। এঁদের মধ্যে কালিদাস (মহাকবি), অমরসিংহ (অভিধান প্রণেতা), বরাহমিহির (জ্যোতির্বিদ), ধন্বন্তরি (চিকিৎসক), বেতালভট্ট (জাদুকর) প্রমুখ ছিলেন।
* রাজধানী: পাটলিপুত্র ছাড়াও উজ্জয়িনী তার দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে গড়ে ওঠে।
* মেহরৌলি লৌহস্তম্ভ লিপি: দিল্লিতে অবস্থিত এই লৌহস্তম্ভে 'চন্দ্র' নামক একজন রাজার উল্লেখ আছে, যাকে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বলে মনে করা হয়। স্তম্ভটির রাসায়নিক গঠন আজও আধুনিক বিজ্ঞানীদের কাছে বিস্ময়।
* প্রথম কুমারগুপ্ত (Kumaragupta I) (আনু. ৪১৫-৪৫৫ খ্রি.):
* দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পুত্র।
* উপাধি: 'মহেন্দ্রাদিত্য'।
* শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী শাসন বজায় রাখেন।
* নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (Nalanda University): প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন বলে মনে করা হয়।
* অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন।
* স্কন্দগুপ্ত (Skandagupta) (আনু. ৪৫৫-৪৬৭ খ্রি.):
* গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ শক্তিশালী শাসক।
* হুন আক্রমণ প্রতিহত: তার রাজত্বকালে মধ্য এশিয়ার বর্বর জাতি 'হুন'রা ভারতে আক্রমণ করে। স্কন্দগুপ্ত সফলভাবে তাদের প্রতিহত করেন, যা 'ভিতরি স্তম্ভলিপি' থেকে জানা যায়।
* সুদর্শন হ্রদের পুনর্নির্মাণ: জুনাগড় শিলালিপি থেকে জানা যায়, তিনি সুদর্শন হ্রদের বাঁধ পুনর্নির্মাণ করেন, যা মৌর্য যুগে নির্মিত হয়েছিল।
* তিনি 'বিক্রমাদিত্য' ও 'দেবার্য' উপাধি ধারণ করেন।
* পরবর্তী গুপ্ত শাসকগণ ও সাম্রাজ্যের পতন:
* স্কন্দগুপ্তের পর গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
* দুর্বল উত্তরাধিকারী, হুনদের বারবার আক্রমণ, সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রসার এবং আর্থিক সংকট এর প্রধান কারণ ছিল।
* শেষ উল্লেখযোগ্য গুপ্ত সম্রাট ছিলেন বুদ্ধগুপ্ত।
৩. গুপ্ত শাসনব্যবস্থা:
* কেন্দ্রীয় শাসন: সম্রাট ছিলেন সর্বময় কর্তা ('পরমভট্টারক', 'মহারাজাধিরাজ', 'পরমেশ্বর' ইত্যাদি উপাধি)। তাঁকে সাহায্য করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ ছিল। প্রধান মন্ত্রীর পদ ছিল 'সর্বাধ্যক্ষ' বা 'অমাত্য'।
* প্রাদেশিক শাসন: সাম্রাজ্যকে 'ভুক্তি' বা 'দেশ'-এ বিভক্ত করা হত। প্রতিটি ভুক্তি একজন 'উপরিক' বা 'গোপ্তা' দ্বারা শাসিত হত।
* জেলা শাসন: ভুক্তিগুলি 'বিষয়'-এ বিভক্ত ছিল, যার প্রধান ছিলেন 'বিষয়পতি'।
* গ্রাম শাসন: গ্রামের শাসনকার্য 'গ্রামিক' বা 'গ্রামাধ্যক্ষ' দ্বারা পরিচালিত হত। 'পঞ্চমন্ডলী' নামে একটি গ্রাম পরিষদও ছিল।
* রাজস্ব: ভূমির ষষ্ঠাংশ ছিল প্রধান রাজস্ব (ভাগ)। এছাড়াও 'ভোগ' (ফল, ফুল, কাঠ), 'উপরিকরা' (কৃষি কর), 'হালিবাকরা' (হাল কর) ইত্যাদি কর প্রচলিত ছিল।
* সামরিক ব্যবস্থা: একটি সুসংগঠিত সেনাবাহিনী ছিল, যাতে পদাতিক, অশ্বারোহী, রথ ও হস্তিবাহিনী অন্তর্ভুক্ত ছিল।
* বিচার ব্যবস্থা: প্রথম বারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনের পৃথকীকরণ দেখা যায়।
৪. অর্থনৈতিক অবস্থা:
* কৃষি: অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিনির্ভর। জমি উর্বর ছিল।
* বাণিজ্য: অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় বাণিজ্যই সমৃদ্ধ ছিল। পশ্চিম উপকূলের বন্দর যেমন ভৃগুকচ্ছ (ভড়ৌচ), সুপারা, কাম্বে এবং পূর্ব উপকূলের তাম্রলিপ্তি (তমলুক) গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
* মুদ্রাব্যবস্থা: গুপ্ত স্বর্ণমুদ্রা 'দিনার' নামে পরিচিত ছিল, যা গুণগত মানে শ্রেষ্ঠ ছিল। রৌপ্যমুদ্রাকেও 'রূপকা' বলা হত।
৫. সামাজিক অবস্থা:
* বর্ণপ্রথা: বর্ণপ্রথা কঠোর ছিল। ব্রাহ্মণদের সামাজিক প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। শূদ্রদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়, তাদের জন্য কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়।
* নারীসমাজ: নারীর অবস্থার অবনতি ঘটে। বাল্যবিবাহ, সতীদাহ প্রথা (প্রথম প্রমাণ ইরন শিলালিপিতে, ৫১০ খ্রি.), পর্দাপ্রথার প্রচলন দেখা যায়। নারীদের সম্পত্তি অধিকার সীমিত ছিল।
* জাতিভেদ: অসংখ্য উপজাতি ও পেশাগত গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। অস্পৃশ্যতার ধারণা বৃদ্ধি পায়।
৬. ধর্ম:
* ব্রাহ্মণ্যবাদ/হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান: গুপ্ত যুগে ব্রাহ্মণ্যধর্ম বা হিন্দুধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে। বৈষ্ণবধর্ম ও শৈবধর্ম জনপ্রিয় হয়। বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক প্রমুখ দেব-দেবীর পূজা শুরু হয়। পুরাণ রচনা হয়।
* বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম: এই ধর্মগুলি গুরুত্ব হারালেও তাদের অস্তিত্ব ছিল। ফাহিয়েন তার লেখায় বৌদ্ধবিহারগুলির উল্লেখ করেছেন।
প্রাচীন ভারতের তিন শক্তিশালী রাজবংশ: কুষাণ, সাতবাহন এবং বাকাটক – একটি বিস্তারিত আলোচনা
৭. শিল্পকলা ও স্থাপত্য:
* মন্দির স্থাপত্য: গুপ্ত যুগে প্রথম freestanding পাথরের মন্দির নির্মিত হতে শুরু করে, যা ভারতীয় মন্দির স্থাপত্যের ভিত্তি স্থাপন করে। উদাহরণ: দেবগড়ের দশাবতার মন্দির, ভিতরগাঁওয়ের ইটের তৈরি মন্দির, সাঁচির ১৭ নম্বর মন্দির, ভুমরার শিব মন্দির, এরণের বিষ্ণু মন্দির।
* ভাস্কর্য: গুপ্ত ভাস্কর্য সরলতা, কমনীয়তা এবং আধ্যাত্মিক ভাবের জন্য বিখ্যাত। মথুরা ও সারনাথ ভাস্কর্য শৈলী ছিল উল্লেখযোগ্য। সারনাথের 'বজ্রাসনস্থ বুদ্ধ' মূর্তি এবং মথুরার 'দাঁড়ানো বুদ্ধ' মূর্তি বিখ্যাত।
* চিত্রকলা: অজন্তা, বাঘ এবং সিগিতনিয়ার গুহাচিত্রগুলি গুপ্ত যুগের চিত্রকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। অজন্তার ১৭ নং গুহার 'মা ও শিশু' এবং 'মরিববব রাজকুমারী' চিত্রগুলি বিখ্যাত।
* ধাতুবিদ্যা: মেহরৌলির লৌহস্তম্ভ (চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয়ের সময়) এবং সুলতানগঞ্জের বুদ্ধ মূর্তি (৭.৫ ফুট উচ্চতা) গুপ্ত যুগের উন্নত ধাতুবিদ্যার প্রমাণ।
প্রাচীন ভারতের শিল্পকলা বিস্তারিত তথ্য
৮. সাহিত্য:
* সংস্কৃত ভাষা: সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটে। এই সময়কে সংস্কৃত সাহিত্যের 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়।
* কালিদাস: গুপ্ত যুগের শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার। তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলি হল:
* নাটক: অভিজ্ঞানশকুন্তলম, মালবিকাগ্নিমিত্রম, বিক্রমোর্বশীয়ম।
* মহাকাব্য: রঘুবংশম, কুমারসম্ভবম।
* খণ্ডকাব্য: মেঘদূতম, ঋতুসংহারম।
* অন্যান্য সাহিত্যিক:
* শূদ্রক: মৃচ্ছকটিকম (মাটির খেলনা গাড়ি)
* বিশাখদত্ত: মুদ্রারাক্ষস, দেবীচন্দ্রগুপ্তম
* ভরবি: কিরাতার্জুনীয়ম
* ভর্তৃহরি: নীতিশতকম, শৃঙ্গারশতকম, বৈরাগ্যশতকম।
* অমরসিংহ: অমরকোষ (অভিধান)
* দণ্ডিন: দশকুমারচরিতম
* পুরাণ ও স্মৃতিশাস্ত্র: এই যুগে অষ্টাদশ পুরাণ (যেমন- মৎস্যপুরাণ, বায়ুপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ) এবং গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিশাস্ত্র (যেমন- নারদ স্মৃতি, বৃহস্পতি স্মৃতি) বর্তমান রূপ লাভ করে।
৯. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি:
* গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা:
* আর্যভট্ট: 'আর্যভট্টীয়ম' গ্রন্থের রচয়িতা। তিনি শূন্যের ব্যবহার, দশমক পদ্ধতি, পাই (π)-এর মান, পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর আবর্তন এবং সূর্যগ্রহণ-চন্দ্রগ্রহণের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন।
* বরাহমিহির: 'বৃহৎসংহিতা', 'পঞ্চসিদ্ধান্তিকা' ও 'বৃহজ্জাতক' গ্রন্থের রচয়িতা। জ্যোতির্বিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা ও বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করেন।
* ব্রহ্মগুপ্ত: 'ব্রহ্মসিদ্ধান্ত' গ্রন্থের রচয়িতা।
* চিকিৎসাবিজ্ঞান:
* চরক: 'চরক সংহিতা' (পূর্ববর্তী), গুপ্ত যুগে চর্চিত।
* সুশ্রুত: 'সুশ্রুত সংহিতা' (পূর্ববর্তী), গুপ্ত যুগে প্লাস্টিক সার্জারির চর্চা ছিল।
* ধন্বন্তরি: দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের নবরত্নদের একজন, বিখ্যাত চিকিৎসক।
* ধাতুবিদ্যা: মেহরৌলির লৌহস্তম্ভ উন্নত ধাতুবিদ্যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১০. গুপ্ত যুগের 'সুবর্ণ যুগ' বিতর্ক:
* সুবর্ণ যুগের পক্ষে যুক্তি:
* শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অগ্রগতি।
* রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
* ব্রাহ্মণ্যধর্ম ও সংস্কৃত ভাষার পুনরুত্থান।
* সুসংগঠিত প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থা।
* সুবর্ণ যুগের বিরুদ্ধে যুক্তি:
* নারীর অবস্থার অবনতি এবং সতীদাহের প্রচলন।
* বর্ণপ্রথার কঠোরতা বৃদ্ধি ও অস্পৃশ্যতার প্রসার।
* আর্থিক বৈষম্য এবং দাসপ্রথার অস্তিত্ব।
* সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার বীজ এই যুগেই বপন হয়, যা পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাকে দুর্বল করে।
১১. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের কারণ:
* হুন আক্রমণ: স্কন্দগুপ্তের পর দুর্বল উত্তরাধিকারীদের সময় বারবার হুন আক্রমণের ফলে সাম্রাজ্যের আর্থিক ও সামরিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
* দুর্বল উত্তরাধিকারী: স্কন্দগুপ্তের পরবর্তী শাসকগণ সাম্রাজ্য পরিচালনায় অদক্ষ ছিলেন।
* প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ: সামন্তদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা ক্রমশ স্বাধীনতা ঘোষণা করতে শুরু করে।
* আর্থিক সংকট: মুদ্রা ব্যবস্থার অবনতি হয়, স্বর্ণমুদ্রায় খাদ মেশানো হয়। বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা দেখা যায়।
* প্রশাসনিক অদক্ষতা: ক্রমবর্ধমান সাম্রাজ্যকে সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমে যায়।
* অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ: বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক বিদ্রোহ দেখা যায়।
উপসংহার:
গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রায় ৩০০ বছর ধরে ভারত শাসন করে এবং ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির উপর গভীর প্রভাব ফেলে। তাদের শাসনকালে ভারতের শিল্প, বিজ্ঞান ও সাহিত্য এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। সাম্রাজ্যের পতন ঘটলেও এর সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক উত্তরাধিকার ভারতীয় ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
FAQ Questions Answers 100
1. প্রথম গুপ্ত শাসক কে ছিলেন?
শ্রীগুপ্ত
2. গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
শ্রীগুপ্ত
3. কোন গুপ্ত শাসক 'মহারাজাধিরাজ' উপাধি গ্রহণ করেন?
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
4. সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি কে ছিলেন?
হরিসেন
5. এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেন?
হরিসেন
6. সমুদ্রগুপ্তকে 'ভারতের নেপোলিয়ন' কে বলেছেন?
ভিনসেন্ট স্মিথ
7. কোন গুপ্ত সম্রাটের আমলে ফাহিয়েন ভারতে আসেন?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
8. দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের অপর নাম কি ছিল?
বিক্রমাদিত্য
9. নবরত্ন কাদের সভাসদ ছিলেন?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
10. গুপ্ত যুগের শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদ কে ছিলেন?
আর্যভট্ট
11. ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’ কে রচনা করেন?
আর্যভট্ট
12. ‘দশমিক পদ্ধতি’ কাদের অবদান?
গুপ্ত যুগ
13. গুপ্ত মুদ্রায় কোন দেবীর ছবি দেখা যায়?
দেবী লক্ষ্মী
14. গুপ্ত সাম্রাজ্যের সরকারি ভাষা কি ছিল?
সংস্কৃত
15. গুপ্ত যুগের স্বর্ণমুদ্রা কি নামে পরিচিত?
দিনার
16. গুপ্ত যুগের রৌপ্য মুদ্রা কি নামে পরিচিত?
রূপক
17. অজন্তা গুহাচিত্র কোন যুগে নির্মিত হয়?
গুপ্ত যুগ
18. গুপ্ত যুগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বিখ্যাত ছিল?
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়
19. ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম’ কে রচনা করেন?
কালিদাস
20. গুপ্ত যুগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক কে ছিলেন?
ধন্বন্তরি
21. ‘আয়ুর্বেদ’ কার সৃষ্টিকর্ম?
ধন্বন্তরি
22. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে কোন আক্রমণের ফলে?
হুন আক্রমণ
23. গুপ্ত যুগের শেষ উল্লেখযোগ্য শাসক কে ছিলেন?
স্কন্দগুপ্ত
24. ‘পঞ্চতন্ত্র’ কে রচনা করেন?
বিষ্ণু শর্মা
25. ‘মৃচ্ছকটিকম’ কে রচনা করেন?
শূদ্রক
26. ‘কামসূত্র’ কে রচনা করেন?
বাৎসায়ন
27. গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল?
পাটলিপুত্র
28. কোন গুপ্ত শাসক অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন?
সমুদ্রগুপ্ত
29. গুপ্ত যুগের প্রধান বাণিজ্য বন্দর কি ছিল?
তাম্রলিপ্ত
30. গুপ্ত যুগে নির্মিত বিখ্যাত লোহার স্তম্ভ কোনটি?
মেহরাউলি লৌহস্তম্ভ
31. মেহরাউলি লৌহস্তম্ভে কোন রাজার নাম খোদিত আছে?
চন্দ্র (দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত)
32. গুপ্ত যুগের শাসনব্যবস্থা কেমন ছিল?
রাজতান্ত্রিক ও বিকেন্দ্রীভূত
33. গুপ্ত যুগে শিল্পকলার প্রধান কেন্দ্র কি ছিল?
মথুরা ও সারনাথ
34. গুপ্ত যুগে নির্মিত দেবগড়ের দশাবতার মন্দির কোন স্থাপত্যশৈলীর উদাহরণ?
গুপ্ত মন্দির স্থাপত্য
35. গুপ্ত যুগে নারী সমাজের অবস্থা কেমন ছিল?
কিছুটা উন্নতি হলেও সীমাবদ্ধতা ছিল
36. স্কন্দগুপ্তের পর গুপ্ত সাম্রাজ্যের ভাঙন কেন শুরু হয়?
দুর্বল উত্তরাধিকারী ও হুন আক্রমণ
37. গুপ্ত যুগে কৃষির অবস্থা কেমন ছিল?
উন্নত ও প্রধান জীবিকা
38. গুপ্ত যুগে শিক্ষার মাধ্যম কি ছিল?
সংস্কৃত
39. গুপ্ত যুগের প্রধান ধর্ম কি ছিল?
হিন্দুধর্ম
40. গুপ্ত যুগে গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার প্রধান কেন্দ্র কোথায় ছিল?
উজ্জয়িনী
41. ফাহিয়েনের লেখা ভ্রমণ কাহিনীর নাম কি?
ফো-কুও-কিং
42. কোন গুপ্ত শাসক 'সিংহবিক্রম' উপাধি গ্রহণ করেন?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
43. গুপ্ত যুগে নির্মিত ভাস্কর্যের একটি বিখ্যাত উদাহরণ দিন।
সারনাথ বুদ্ধ মূর্তি
44. গুপ্ত সাম্রাজ্যকে ভারতের কোন যুগ বলা হয়?
সুবর্ণ যুগ
45. গুপ্ত যুগে ভূমি রাজস্বের হার কত ছিল?
উৎপাদিত ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ
46. গুপ্ত যুগে বণিকদের কি বলা হতো?
শ্রেষ্ঠী
47. গুপ্ত যুগে সাহিত্য চর্চার প্রধান দিক কি ছিল?
কাব্য, নাটক ও পুরাণ
48. গুপ্ত যুগে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি উদাহরণ দিন।
আর্যভট্টের শূন্যের ধারণা
49. গুপ্ত সাম্রাজ্য কত খ্রিস্টাব্দ থেকে কত খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল?
৩২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ
50. কোন গুপ্ত রাজা 'শক বিজয়ী' নামে পরিচিত ছিলেন?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
51. গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্তের প্রচলিত উপাধি কী ছিল?
মহারাজ।
52. কোন গুপ্ত শাসকের রাজত্বকালকে 'ভারতীয় সংস্কৃতির স্বর্ণযুগ' বলা হয়?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের।
53. কোন গুপ্ত রাজা লিচ্ছবি রাজকন্যা কুমারদেবীকে বিবাহ করেন?
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত।
54. সমুদ্রগুপ্তের মাতার নাম কী ছিল?
কুমারদেবী।
55. সমুদ্রগুপ্তের পর গুপ্ত সিংহাসনে কে আরোহণ করেন?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
56. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের একটি অভ্যন্তরীণ কারণ কী ছিল?
অভ্যন্তরীণ কলহ ও দুর্বল শাসন।
57. গুপ্ত সাম্রাজ্যের সরকারি প্রতীক কী ছিল?
গরুড়।
58. গুপ্ত সাম্রাজ্যে সামরিক বিভাগের প্রধানকে কী বলা হত?
মহাবলাধিকৃত।
59. গুপ্ত যুগে ভূমি পরিমাপের একক কী ছিল?
নিবর্তন।
60. গুপ্ত যুগে বিচার ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ আপিল কর্তৃপক্ষ কে ছিলেন?
সম্রাট।
61. গুপ্ত যুগে নগর প্রধানকে কী বলা হত?
নগর শ্রেষ্ঠী।
62. গুপ্ত সাম্রাজ্যে গুপ্তচর বিভাগের কাজ কী ছিল?
রাজকীয় নিরাপত্তা ও তথ্য সংগ্রহ।
63. গুপ্ত যুগের প্রশাসনিক বিভাগ 'ভুক্তি'র প্রধানকে কী বলা হত?
উপারিক।
64. গুপ্ত সাম্রাজ্যে গ্রামের শাসন পরিচালনার জন্য গঠিত পরিষদকে কী বলা হত?
গ্রাম সভা।
65. গুপ্ত যুগে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
মোক্ষলাভ ও নৈতিক উন্নয়ন।
66. গুপ্ত যুগে কৃষকদের থেকে আদায় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ করের নাম কী?
ভাগ।
67. গুপ্ত যুগে ভূমিহীন কৃষকদের জন্য প্রচলিত একটি শব্দ কী ছিল?
ভাস।
68. গুপ্ত যুগে ভূমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত দলিল কে তৈরি ও সংরক্ষণ করতেন?
অক্ষপটলিক।
69. গুপ্ত যুগের অর্থনীতিতে বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি প্রধান দিক কী ছিল?
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও রোমান সাম্রাজ্যের সাথে বাণিজ্য।
70. গুপ্ত যুগের শিল্পকলায় কোন ধর্মীয় বিষয়ের প্রভাব বেশি দেখা যায়?
পৌরাণিক হিন্দু ধর্মীয় বিষয়।
71. গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়কালকে কেন 'ভারতীয় সংস্কৃতির সুবর্ণ যুগ' বলা হয়?
সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও দর্শনের ব্যাপক উন্নতি।
72. গুপ্ত যুগে নির্মিত একটি বিখ্যাত ইঁটের মন্দিরের নাম কী?
ভিতরগাঁও মন্দির।
73. গুপ্ত যুগে বিষ্ণুর কোন অবতারের পূজা বিশেষ জনপ্রিয় ছিল?
বরাহ অবতার।
74. গুপ্ত যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প কেন্দ্র ছিল মথুরা, অন্যটি কোথায় ছিল?
সারনাথ।
75. গুপ্ত যুগে বৌদ্ধ ধর্মের একটি প্রসিদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র কোনটি ছিল?
নালন্দা।
76. গুপ্ত যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞানে কোন পদ্ধতিগুলি বিশেষ প্রচলিত ছিল?
শল্যচিকিৎসা ও ভেষজ ঔষধের ব্যবহার।
77. গুপ্ত যুগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক কী ছিল?
গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ভুল পর্যবেক্ষণ।
78. গুপ্ত যুগের রাজাদের একটি সাধারণ ধর্মীয় উপাধি কী ছিল?
পরমভাগবত।
79. গুপ্ত যুগে ব্যবহৃত প্রধান লিপির নাম কী ছিল?
গুপ্ত লিপি।
80. গুপ্ত সাম্রাজ্যের অর্থনীতির মূল ভিত্তি কী ছিল?
কৃষি ও উন্নত বাণিজ্য।
81. গুপ্ত যুগে বস্ত্রশিল্পের একটি প্রসিদ্ধ কেন্দ্র কোনটি ছিল?
বেনারস।
82. গুপ্ত যুগে বৈদেশিক বাণিজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ পথ ব্যবহৃত হত?
রেশম পথ।
83. গুপ্ত যুগে বৌদ্ধ ধর্মের কোন শাখা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে?
মহাযান।
84. গুপ্ত যুগে জৈন ধর্ম কি রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল?
হ্যাঁ, কিছু গুপ্ত রাজা দ্বারা।
85. গুপ্ত যুগে সামাজিক স্তরবিন্যাসের ভিত্তি কী ছিল?
বর্ণপ্রথা।
86. গুপ্ত যুগে দাসপ্রথার প্রকৃতি কেমন ছিল?
তুলনামূলকভাবে মৃদু ও সীমিত।
87. গুপ্ত যুগে বিবাহের ক্ষেত্রে কোন সামাজিক রীতি প্রচলিত ছিল?
স্বগোত্র বিবাহ পরিহার।
88. গুপ্ত যুগে জনপ্রিয় একটি বুদ্ধিবৃত্তিক খেলার নাম কী ছিল?
দাবা।
89. গুপ্ত যুগে সাহিত্য রচনার প্রধান ভাষা কোনটি ছিল?
সংস্কৃত।
90. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর উত্তর ভারতে কোন ছোট ছোট রাজ্য গড়ে ওঠে?
মৈত্রক ও মৌখরি রাজ্য।
91. গুপ্ত যুগে নির্মিত মন্দিরের একটি স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
সমতল ছাদ ও পাথরের ব্যবহার।
92. গুপ্ত যুগে পশুচিকিৎসা বিদ্যার কোন ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছিল?
হস্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
93. গুপ্ত যুগে জ্যোতির্বিজ্ঞানে কিসের নির্ভুল গণনা সম্ভব হয়েছিল?
চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ।
94. গুপ্ত যুগে মুদ্রা তৈরিতে কোন তিনটি প্রধান ধাতু ব্যবহৃত হত?
সোনা, রূপা ও তামা।
95. গুপ্ত যুগে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোন দ্রব্যগুলি প্রধান ছিল?
খাদ্যশস্য, বস্ত্র ও মশলা।
96. গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ দিকের শাসকগণকে কেন সামরিক দুর্বলতার সম্মুখীন হতে হয়?
হুন আক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি।
97. গুপ্ত যুগে চিত্রকলার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ কোথায় দেখা যায়?
অজন্তা গুহাগুলিতে।
98. গুপ্ত যুগে নির্মিত দেবগড়ের দশাবতার মন্দিরের প্রধান দেবতা কে?
বিষ্ণু।
99. গুপ্ত যুগে নারীদের সম্পত্তির অধিকার কেমন ছিল?
সীমিত ছিল।
100. গুপ্ত যুগে সাহিত্য ও নাটকের একটি প্রধান দিক কী ছিল?
নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রচার।